ঢাকা: প্রযুক্তিগত উন্নয়নে দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কার করা প্রয়োজন। রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি ডায়লগ: ২১ সেঞ্চুরি আইসিটি গ্রাজুয়েট’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে ডিসিসিআই এবং সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় প্রযুক্তি দক্ষ ব্যক্তির অভাব আছে। পার্শ্ববর্তী দেশ চীন ও ভারতের আয়তনের তুলনায় লোকসংখ্যা কম হলেও প্রযুক্তিদক্ষ মানুষ থাকায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশেও প্রযুক্তিদক্ষ জনবল আছে। তবে সেটার সংখ্যা অতি নগণ্য। তাই এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তির সংমিশ্রণ করতে হবে।
দেশের প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ছাত্র এবং শিক্ষকের আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে। এ আত্মবিশ্বাসের জায়গা তৈরি করতে হলে মাঠ পর্যায়ের (প্রাকটিক্যাল) টেকনিশিয়ান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে।
আর এ মাধ্যমেই দক্ষ কারিগরি বা প্রযুক্তিভিত্তিক মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশে হীনমন্যতায় ভুগবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, মানুষের মধ্যে যদি ইতিবাচক দিক থাকে, তবে যে কোনো কাজে সফল হওয়া যায়। আমাদের সমাজে কিছু সংস্কৃতি আছে, যা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি না। তাই অনেক কিছুই দ্রুত পরিবর্তন করা সম্ভব না। পর্যায়ক্রমে একটি পরিবর্তন করা সম্ভব।
ডিসিসিআই’র সভাপতি সবুর খান বলেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তির অগ্রগতিতে তরুণেরা বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে তারা দেশে ফিরে সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করছে। দেশে এখন আট শতাধিক নিবন্ধিত সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান আছে। বাংলাদেশে মোট ৩২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের আইসিটি বাজার রয়েছে। এখানে প্রায় ৩৫ হাজার প্রযুক্তিদক্ষ জনবল কাজ করছে।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিকাশে বেশ কিছু সমস্যা আছে। যেমন দক্ষ আইটি প্রশিক্ষকের অভাব, যথাযথ অবকাঠামোর অভাব, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিংয়ের অভাব এবং যথাযথ মার্কেটিংয়ের অভাব। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে বাংলাদেশ আইসিটি ক্ষেত্রে দারুণভাবে এগিয়ে যাবে।
এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। এ ছাড়াও ছিলেন ডিসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নাসের মাকসুদ খান, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার এবং ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম লুতফুর রহমান।
বাংলাদেশ সময় ২১৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৩
এসএনএইচ/সম্পাদনা: মাহমুদুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর/ সাব্বিন হাসান