ঢাকা: বিমান পরিবহন খাতে তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান সিটা’র (এসআইটিএ- সোসিয়েতে ইনতারনাসিওনালে দে তেলেকমুনিকেশন আরোনাতিকস) সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো পরিবর্তন ও ব্যবস্থাপনায় সিটার সঙ্গে এ চুক্তি করল বিমান কর্তৃপক্ষ।
মাল্টি মিলিয়ন ডলারের এ চুক্তির অধীনে সিটা বিমানের গ্লোবাল নেটওয়ার্ক, অপারেশনাল মেসেজিং এবং বিমান পরিবহন খাতে এর কর্মপরিসর রূপান্তর তথা পরিবর্তনে সহায়তা করবে। সিটা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যয় সংকোচনে ভূমিকা রাখবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কেভিন জন স্টিল বললেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা ফ্লাইট ও যাত্রী সংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা যাত্রীদের সেবা উন্নত করব। এ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অপারেশনাল কস্ট কমিয়ে আনবো।
তিনি আরও বলেন, সিটা আমাদের পুরো সিস্টেমের কাঠামো উন্নয়নে সাহায্য করবে। তারা পরোক্ষভাবে আমাদের নেটওয়ার্ক কাঠামো ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে। যাতে আমরা আমাদের উঠতি ব্যবসায় মনোযোগ দিতে পারি এবং হালনাগাদ প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠি।
সিটা এয়ারলাইন সমূহের বিশ্বব্যাপী অবস্থানে এ পরিকাঠামোর বিধান ছাড়াও ঢাকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অফিসে উন্নত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন পিএবিএক্স স্থাপন করবে। যার সঙ্গে এয়ারলাইনসের কল সেন্টার যুক্ত থাকবে। সিটা প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নতমানের সফটওয়্যার সরবরাহ করবে।
১০ বছরের এ চুক্তির অংশ হিসেবে বিমান সিটার ‘ক্রু ট্যাবলেট’ আনবে। এ ট্যাবলেট বিমান ক্রুদের যাত্রীসেবার মান বাড়াতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে ক্রুরা সহজেই যাত্রী এবং এ সংক্রান্ত তথ্য পাবে। এ জন্য তারা আরও দ্রুত সেবা দিতে পারবে।
ডিজিটাল ফর্ম ও রিপোর্টের মাধ্যমে ‘ক্রু ট্যাবলেট’ অভ্যন্তরীণ অপারেশনাল কস্ট কমিয়ে আনবে। এর মাধ্যমে জ্বালানি খরচও কমিয়ে আনা যাবে।
এ নতুন চুক্তি অনুযায়ী সিটা বিমানের নব-রূপায়ণে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে বিমানের আইটি ব্যবস্থাপনার খরচ কমবে। যাত্রী সংখ্যার ওপর ভিত্তি করেই এ খরচ নির্ধারিত হবে।
সিটার এশীয় অঞ্চলের নির্বাহী ইলিয়া গুটলিন বললেন, সিটা প্রয়োজনীয় ও কার্যকর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
আমরা ধারাবাহিকভাবে বিমানের প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করব। এর সঙ্গে ব্যয় সংকোচন ও সেবার মান বাড়ানোর মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক স্বার্থে কাজ করব।
বাংলাদেশ সময় ২১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৩
সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম, নিউজরুম এডিটর/ সাব্বিন হাসান, eic@banglanews24.com