সিলেট: থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে বিভাগীয় নগরী সিলেটের ১৪টি এলাকা। বুধবারের মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৯টি এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু হবে।
ঈদের আগে সিলেটে অত্যাধুনিক এই সুবিধাকে অনেকেই ঈদ উপহার বলে মনে করছেন।
টেলিটকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ আগস্ট মহানগরীর ২৯টি এলাকায় থ্রিজি চালুর ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
নগরীর দরগা মহল্লা, মেন্দিভাগ, মিরাবাজার, উত্তর বালুচর, আম্বরখানা, সাগরদিঘীর পাড়, দাঁড়িয়াপাড়া, তালতলা, আখালিয়া, ভাতালিয়া, বন্দরবাজার এবং কাজলশাহসহ ১৪টি এলাকায়ে এরইমধ্যে থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে।
এছাড়া আরও যেসব এলাকায় থ্রিজি নেটওয়ার্ক যাচ্ছে সেগুলো হলো- চৌহাট্টা, কুমারপাড়া, সুবিদবাজার, পশ্চিম পীর মহল্লা, কাজিটুলা, আখারিয়া নয়াপাড়া, শেখঘাট, শিবগঞ্জ, তেররতন উপশহর, টিলাগড় রাজপাড়া, শাহজালাল উপশহর এইচ ব্লক, ঘাসিটুলা, যতরপুর, সুবিদাবাজার, বনকলাপাড়া, বাগাবাড়ি ও মিরাপাড়া।
টেলিটকের সহকারী ব্যবস্থাপক (ট্রান্সমিশন) মুনতাসীরুর রহমান রুম্মান বাংলানিউজকে জানান, আগামী বুধবারেই তারা ২৯টি বিটিএসে সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
উল্লেখ্য, সিলেটে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইল ফোন সুবিধা মার্চ মাসে চালুর কথা থাকলেও থ্রিজি প্রযুক্তির অবকাঠামো নির্মাণের কাজ যথা সময়ে শেষ না হওয়ায় আগস্ট মাস থেকে চালু হলো থ্রিজি সেবা। এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে শুধু ঢাকায় থ্রিজি সেবা শুরু করে।
টেলিটক সূত্র জানায়, টেলিটকের সিলেট অঞ্চল তথা সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায় টেলিটকের সক্রিয় সিম রয়েছে ৩০ হাজার। থ্রিজি আসার খবরের পর তা আরও কয়েক হাজার বেড়ে গেছে। থ্রিজি পুরোপুরি চালুর পর আবারও গ্রাহক বাড়তে পারে। ।
প্রসঙ্গত, থ্রিজির মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ভিডিও কল করা যাবে। টেলিভিশন দেখা বা ভিডিও কনফারেন্সও করা যাবে। এছাড়া, এম-হেলথ (অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা), এম-ব্যাংকিং (মোবাইলে আর্থিক লেনদেন), এম-এডুকেশনসহ (অনলাইন শিক্ষা সেবা) বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ সেবা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৩
এসএ/ সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর; এনএস