আইপিসিসি (ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) পঞ্চ-বার্ষিকী প্রতিবেদন প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের সপক্ষে প্রমান সংগ্রহ করা হয়েছে এবং উদ্যোক্তারা পোল্যান্ডের ওয়ার্সোতে সিওপি নাইনটিন (কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস) ইউনাইটডে ন্যাশনস ক্লাইমেট চেঞ্জ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
এ অবস্থায় ক্লাইমেট এশিয়া গবেষণার ফলাফলে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য উঠে এসেছে। এতে জলবায়ুর নাটকীয় পরিবর্তনে মানুষের উদ্বেগ এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বহুমুখী পন্থা তুলে ধরা হয়েছে।
ক্লাইমেট এশিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনায় এসব অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা এবং গণমাধ্যম, সুশীলসমাজ ও সরকারকে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য করা। এ ছাড়াও তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে জনগণকে অবহিত করা।
এ গবেষণায় ২০ জন ব্যক্তির উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। যেমন মুম্বাইয়ের একজন জেলে, নেপালের গ্রামের একজন নারী, ঢাকা বা গোয়াংঝুতে অভিবাসন নেওয়া ব্যক্তি।
আসছে ১৪ নভেম্বর ঢাকা থেকে শুরু করে ক্লাইমেট এশিয়ার কার্যক্রম এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে চলবে। এ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে এ ধরনের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ, পরিবেশন এবং পরামর্শ দেওয়া।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর শার্লট ইমবার্ট বলেন, বাংলাদেশিরা জলবায়ুর বহুমূখী পরিবর্তনকে অনুভব করছে। এরই মধ্যে আমরা দেখেছি এ জনগোষ্ঠি তাদের জীবন-যাপনে অনেক পরিবর্তন এনেছে এবং আনতে ইচ্ছুক।
ক্লাইমেট এশিয়া সুনির্দিষ্টভাবে তাদের তথ্য এবং সাহায্য তুলে ধরেছে। আমরা আশা করি সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম যাদেরকে আমরা এ আয়োজনে পেয়েছি, তারা যেন এ বিষয়ে আরও সহায়ক উদ্যোগ নিতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের(আইসিসিসিএডি) পরিচালক এবং ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ডক্টর সেলিমুল হক বলেন, আইসিসিসিএডিয়ের তরফ থেকে আমরা চাই জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষনায় স্থানীয় জনগণের বক্তব্য উঠে আসুক।
যেহেতু বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই এ গবেষণায় থেকে উঠে আসা বিস্তারিত এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জগুলো তাৎপর্যপূর্ণ। এসব উপাত্তগুলো আমাদের দেশজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
এ বিষয়ে ক্লাইমেট এশিয়া ডেটা পোর্টালে (www.bbc.co.uk/climateasia) আছে প্রতিটি দেশ ও অঞ্চলে গবেষণায় পাওয়া সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত।
গণমাধ্যম এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি এমনভাবে সাজানো যেন তারা পরিকল্পনা ও তথ্য যোগাযোগের প্রয়োগ এবং অন্য সব কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুতে সহায়তা নিতে পারেন। যেকোনো দেশ, ,স্থানীয় জনগণ বা গণমাধ্যমের যেকোনো ব্যবহারকারী ছক বা তালিকা সাজানোর প্রয়োজনে এ সাইটের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করতে পারবেন। এ সাইটে আরও পাওয়া যাবে ক্লাইমেট কমিউনিকেশন গাইড, আমাদের গবেষণা পদ্ধতির ওপর তথ্য এবং উপকরণ।
বাংলাদেশ সময় ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৩
এসএইচ/এসআরএস