ঢাকা: ধরুন, আপনি রাস্তায় বাল্বের নিচে দাঁড়িয়ে আছেন সরকারি ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য। কিংবা মুহূর্তেই নিজের ডেস্কের বাল্বটি থেকে একটি এইচডি মুভি ডাউনলোড করে নিচ্ছেন।
ওয়াই-ফাই’র বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে উৎপাদিত ইন্টারনেটের চেয়ে নতুন এই ইন্টারনেটের খরচ অপেক্ষাকৃত কম হবে। নতুন ধরনের ইন্টারনেটের নাম দেওয়া হয়েছে লাই-ফাই।

এই গতি চীনের যেকোন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের চেয়ে গতিসম্পন্ন বলে জানান সাংহাই ফুডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক চি নি।
এই লাই-ফাই প্রযুক্তি সম্পর্কে ২০১১ সালে প্রথম ধারণা দেন জার্মান অধ্যাপক হ্যারল্ড ল্যাস। তিনি এখন যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
লাই-ফাই এর কার্যকারিতা এবং খরচ নির্ণয়ের জন্য সাংহাইয়ে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এই প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এ সম্পর্কে চি নি বলেন, মোবাইল ফোনের সিগন্যাল শক্তিশালী করার জন্য বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ বেস স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এই শক্তির বড় একটি অংশ পদ্ধতিগত কারণে নষ্ট হয়ে যায়। শক্তি ব্যবহারের হার মাত্র ৫ ভাগ।

আর এর সংযোগেরও একটি সীমা আছে। অথচ এর কোন একটি সমস্যা নেই লাই- ফাইয়ে। এতসব সুবিধার কথা চিন্তা করে চীনের জনগণ এরইমধ্যে পুরোনো সাধারণ বাল্বের পরিবর্তে লেড বাল্ব ব্যবহার শুরু করেছে।
চি নি চীনের সিনহুয়া চ্যানেলকে জানান, যেখানেই লেড বাল্ব সেখানেই ইন্টারনেট সিগন্যাল। যদি লাইট বন্ধ হয়ে যায় তবে কোন সিগন্যাল থাকবে না। তবে বাণিজ্যিকভাবে এই প্রযুক্তি বাজারে আসতে আরো অনেক সময় লাগবে।
তবে এই প্রযুক্তির একটি অসুবিধাও আছে। এটি কঠিন কোন বস্তু ভেদ করতে অক্ষম। ফলে যদি ডাটা গ্রহীতা কোনভাবে ব্লক হয়ে যায় তাহলে বাল্ব থেকে সিগন্যাল পাঠানোও বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৩
কেএইচ/এনএস/আরআইএস