নতুন আইপ্যাড মিনি আগ্রহীদের নজর এখন ২১ নভেম্বরে। এ দিনটির দিকে তারা তাকিয়ে আছে দাম, যাবতীয় বৈশিষ্ট্য এসব জানার জন্য নয়।
কিন্তু দিনটি যতই নিকটে আসছে বিভিন্ন তথ্য সুত্র পণ্যটির প্রকাশ নিয়ে অসম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এ মুহুর্তে সেই একইসুরে সুর মিলিয়েছে জাপানি প্রযুক্তি বিশ্লেষক। তার মতে, আইপ্যাড মিনি ২’র উৎপাদনে চরম অনিশ্চয়তা লক্ষ্য করা গেছে। সরবরাহ স্বল্পতার কারণে উন্মুক্তের নির্দিষ্ট দিন ২১ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে হয়ত স্প্রিং এ যাবে। এর আগে হয়ত প্রত্যাশীদের হাতে যাচ্ছেনা আইপ্যাড মিনির এ সংস্করণ।
এদিকে ২১ নভেম্বর পণ্যটি বিক্রিতে যাচ্ছে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্রেতাদের বিশ্বাস এখনও অটল। তাদের দাবি প্রথমত এটি প্রি অর্ডারে যাওয়ার লক্ষ্য থাকবে। যদিও অ্যাপল এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চুপ।
দৃষ্টান্ত হিসেবে অ্যাপলের ট্যাবলেট ডিসপ্লে সাপ্লায়ার প্রতিষ্ঠান এলজি, শার্প’কে সামনে আনা হয়। যারা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
সিনেটের প্রতিবেদনে দাবি করা হয় উৎপাদনে বিভিন্ন সাপ্লায়ারদের মধ্যে এলজিডি সবচেয়ে সফল। তবুও এ পর্যন্ত উপাদনের সীমায় যেতে সক্ষম হয়নি।
এছাড়া আইএইচএস‘র ট্যাবলেট গবেষণার পরিচালক অ্যালেক্সান্ডার বলেন চতুর্থ প্রান্তিকে রেটিনা মিনির যোগানে অবিশ্বাস্য সংকট দেখা দেবে। আগামী ফেব্রয়ারী অথবা মার্চে রেটিনা মিনি নামাবে অ্যাপল যখন পর্যাপ্ত সরবরাহ সম্পর্কে দ্বিধা থাকবেনা। অন্যান্য প্রতিবেদনের সাথে মিলে যায় তার কথা।
আরও বলা হয় চলতি বছরে আইপ্যাড যোগানের মাত্রা তুলনামূলকভাবে মাঝারি পর্যায়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত, নতুন আইপ্যাডে একরকম অবয়ব ধরে রাখলেও গুণগত মানের ডিসপ্লে এনেছে অ্যাপল। এতে রেটিনা প্যানেল এবং কিছু নতুন হার্ডওয়্যার এসেভেন অ্যান্ড এমসেভেন প্রসেসর ছাড়াও সর্বত্রে এলটিই সুবিধা পাওয়া যাবে। তথ্য মতে, যুক্তরাজ্যের বাজারে এর দাম ৩১৯ পাউন্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৩