ঢাকা: টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বেধে দেওয়া রোডম্যাপের অনেক আগেই সারাদেশে থ্রিজি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে কাজ করছে দেশের বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।
এরই মধ্যে রাজধানীর ৪৫ শতাংশ এলাকা গ্রামীণফোনের থ্রিজি নেটওয়ার্কের মধ্যে এসেছে।
গত ৮ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্রথম থ্রিজি সেবা চালু করে গ্রামীণফোন। এরপর একে একে গুলশান, বনানী, বারিধারা, মহাখালী, ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, মতিঝিল, মগবাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ফার্মগেট, বাংলামোটর, মিরপুরের কিছু অংশ এবং কাফরুল এলাকায় থ্রিজি সেবা পৌঁছে দেয়।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম থ্রিজির আওতায় আসে আগ্রাবাদ এলাকা। এরপর খুলশি, জিইসি এই সেবার আওতায় এসেছে। অচিরেই তা অলংকার মোড় ও কোর্ট এলাকায় থ্রিজির নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হবে। এর বাইরে সিলেটের প্রায় অর্ধেক এলাকা এখন থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ঢাকা নিলামের মাধ্যমে ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড ১০ মেগাহার্টজ থ্রিজি তরঙ্গ লাভ করে গ্রামীণফোন। বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী লাইসেন্স প্রদানের দেড় বছরের মধ্যে দেশের সবগুলো জেলায় থ্রিজি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।
এ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, বিটিআরসির বেধে দেওয়া রোডম্যাপের সময়সীমার আগেই সব জেলায় থ্রিজি নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাবে।
গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা তাহমিদ আজিজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে বাংলানিউজকে জানান, থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে গ্রামীণফোনের কর্মীরা দিনরাত কাজ করছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ৫৬০টি বেস স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই ৭টি বিভাগীয় শহর পুরোপুরি থ্রিজি সেবার আওতায় আসবে।
দেশের বৃহত্তম অপারেটর গ্রামীণফোনের সাড়ে ৪ কোটি গ্রাহক রয়েছে এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৩