ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সামিট কমিউনিকেশনের থ্রিজি উন্নয়নে জুনিপার

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৩
সামিট কমিউনিকেশনের থ্রিজি উন্নয়নে জুনিপার

সামিট কমিউনিকেশন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেটওয়ার্ক উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান জুনিপার নেটওয়ার্কের সহায়তায় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সল্যুশন সক্ষমতা অর্জন করেছে। সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।



বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি সেবা চালুর পর ক্রমবর্ধমান মোবাইল ডাটা ট্রাফিক চাহিদা সহজে ও দ্রুততার সঙ্গে সমাধানে সামিট কমিউনিকেশনকে কারিগরি সহায়তা করছে জুনিপার নেটওয়ার্ক।

বর্তমানে সামিট কমিউনিকেশন বাংলাদেশের প্রায় সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন অপারেটর, ওয়াইম্যাক্স অপারেটর, ক্যাবল টেলিভিশন অপারেটর ছাড়াও বেশ কিছু সরকারি সংস্থায়ও মোবাইল ব্যাকহোল ও ট্রান্সমিশন সেবা দিচ্ছে।

বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ কোটি ৯০ লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহারকার করে। তবে ইন্টারনেটের ব্যবহার এখনো সন্তোষজনক নয়। তাই থ্রিজি সেবা চালু হলে সামিট কমিউনিকেশনের নেটওয়ার্কে ডাটা ট্রাফিকের ব্যবহার আরও সমৃদ্ধ হবে।

এ অবস্থায় দেশের পাঁচটি মোবাইল অপারেটরকে ইন্টারনেট সেবা প্রদানে সামিট কমিউনিকেশন মোবাইল ব্যাকহোল সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এ মুহূর্তে দেশে পাঁচটি মোবাইল অপারেটরের ২০ হাজারের বেশি বেইস স্টেশন সাইট আছে।

একই সময়ে সামিট এসডিএইচ ঘরানার লিগ্যাসি ট্রান্সপোর্ট থেকে একটি স্থাপত্যে এন্ড-টু-এন্ড নেটওয়ার্কে পরিবর্তিত হতে চায়। যা তাদের নতুন রাজস্ব আয়ে সহযোগিতা করবে।

সামিট কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আরিফ আল ইসলাম বলেন, নতুন এ এন্ড-টু-এন্ড আইপি/এমপিএলএস নেটওয়ার্ক নিয়োগ প্রতিষ্ঠানের জন্য কৌশলী উদ্যোগ। এখনো অবধি আমাদের নেটওয়ার্কে বেশিরভাগ ট্রাফিকই ভয়েস।

কিন্তু থ্রিজি মোবাইল সেবার সূচনায় বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিপ্লব শুরু হয়েছে। তাই ডাটা প্রবাহ বাড়ানোর জন্য এখন আমরাও প্রস্তুত।

জুনিপার নেটওয়ার্ক সল্যুশনের সঙ্গে আমরা যেভাবে লাভবান হচ্ছি তাকে ‘লাস্ট মোভ অ্যাডভান্টেজ’ প্রযুক্তি উন্নয়ন বলা যায়। যা এক বছর আগেও সহজলভ্য ছিল না। এখন আমরা যে নেটওয়ার্ক স্থাপত্য স্থাপন করেছি তা দেশের ইন্টারনেট সেবা ব্যবসায় নতুন সুবিধার সঙ্গে শুধু থ্রিজি সক্ষমতাই নয়, বরং এটি বাংলাদেশে যখন ‘ফোরজি-এলটিই’ নেটওয়ার্ক আসবে তার জন্যও আগাম প্রস্তুত করবে।

জুনিপার নেটওয়ার্কের ভারত ও সার্ক অঞ্চলের ব্যবপস্থাপনা পরিচালক রবি চৌহান বলেন, একটি অ্যাকসেস পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন প্রজন্মের মোবাইল ও বিভিন্ন ধরনের ট্রাফিক সেবা সরবরাহকারী উপকরণ সংযোগ অবকাঠামোসহ সামিট কমিউনিকেশন এখন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক বিবেচনায় শীর্ষস্থানে। সিমল্যাস এমপিএলএস এবং একটি নিয়ন্ত্রণ শাখা ও একই নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমের অধীনে পরিচালতি হওয়ায় নতুন সেবাটি সহজ, দ্রুত ও আর্থিক টেকসই করে তুলবে।

বাংলাদেশ সময় ২১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৩
সাব্বিন হাসান

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।