ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন মেইল :

স্প্যামবার্তায় বছরে ১০ হাজার কোটি ডলারের ব্যবসা!

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১
স্প্যামবার্তায় বছরে ১০ হাজার কোটি ডলারের ব্যবসা!

বিশ্বব্যাপী অনলাইনপ্রেমীদের ইমেইল ভক্তির তর্জমা নতুন করে করার কিছু নেই। কিন্তু ইমেইল গ্রাহকদের বছরজুড়েই পড়তে হয় অভিনব সব ঝুটঝামেলায়।

সিমেনটেক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিমুহূর্তের অনলাইন বিশ্বে বহুমাত্রিক স্প্যামবার্তা সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান ইমেইল গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে অপ্রয়োজনীয় বার্তা প্রেরণ করে থাকে। আর এ সংখ্যাও নিতান্ত নগণ্য নয়।

কিন্তু এ মুহূর্তে পরিসংখ্যান খানিকটা ভিন্ন কথাই বলছে। ইন্টারনেটভিত্তিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিমেনটেক সূত্র জানিয়েছে, এবারের বড়দিনের উৎসবের সময় জাঙ্ক ইমেইল প্রেরণের সংখ্যা আকস্মিকভাবে কমতে শুরু করে।

সিমেনটেক সূত্রে মতে, গত বছরও প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার কোটি স্প্যাম ইমেইল প্রেরণ করা হয়। কিন্তু সবশেষ বড়দিনের উৎসবে এ স্প্যাম ইমেইলের সংখ্যা কমে গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে।

সিমেনটেকের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক পল উড জানান, এ বছরের শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী স্প্যাম ইমেইলের সংখ্যা অপ্রত্যাশিতভাবে কমতে থাকে। তবে এর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। এটা অনেকটা ব্যাখ্যাহীন তথ্য।

পল উডের ভাষ্যমতে, এ ঘটনার পেছনে একটি অতিগোপনীয় লক্ষ্য আছে। এবারের বড়দিনের উৎসবে বিশ্বের সর্বোবৃহৎ তিনটি স্প্যাম বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে আনে।

এদের মধ্যে অন্যতম নির্মাতা হচ্ছে রুস্টক। এর তথ্যমতে, স্প্যামবার্তা ছড়ানোর পেছনে কমপিউটার সিস্টেমের দূর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকাংশেই দায়ী। আর অনেকটা নাটকীয়ভাবেই গত ডিসেম্বর থেকে এ প্রতিষ্ঠান তার স্প্যামবার্তা বিপণন কার্যক্রম শিথীল করে ফেলে।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী অনাকাক্সিক্ষত ইমেইল (স্প্যামর্বাতা) তৈরি এবং বিপণনে রুস্টক অন্যতম। এ প্রতিষ্ঠান একাই বিশ্বের ৪৮ ভাগ স্প্যামবার্তা প্রেরণ করে থাকে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠান গত ডিসেম্বরে আকস্মিকভাবেই স্প্যামবার্তা প্রেরণের পরিমাণ শতকরা ০.৫ ভাগে নামিয়ে আনে।

অন্য দুটি স্প্যামবার্তা প্রেরকের মধ্যে লেথিক এবং এক্সারভেস্টারও তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে আনে। বিশ্লেষকরা এ বিষয়টি মোটেও সহজভাবে দেখছেন না। তাদের ধারণা, এ প্রতিষ্ঠানগুলো জোটবদ্ধ হয়ে কোনো সময়ে সম্মিলিতভাবে বড় ধরনের আক্রমণ পরিচালনা করতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের প্রেরিত শতকরা ৯০ ভাগ স্প্যামবার্তা জাঙ্ক নিয়ন্ত্রক ফিল্টারে ধরা পড়ে। এ মুহূর্তে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবসার বড় অংশ জুড়ে আছে স্প্যামবার্তা তৈরি এবং প্রেরণ। গত বছরের হিসাবে এর পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলার।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২৩১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।