২০১৩ সালের পুরোটা সময় জুড়েই স্মার্টফোন দুনিয়ায় চলেছে উন্নয়নের তোলপাড়। এ মডেল আসে তো ওই মডেল টেক্কা দিতে আসে।
(১) আইফোন ৫এস
অতীতের মতো এবারেও বছরের সেরা স্মার্টফোনের খেতাব নিয়েছে আইফোন। আর মডেল ছিল ৫এস। এ মডেলের কারিগরি বৈশিষ্ট্য ৬৪ বিট প্রসেসর, ডাটা প্রসেসে সর্বোচ্চ শক্তিশালী, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার এবং হোম বাটন।
স্টিভ জবস নেই। তবে আইফোন ৫এস হচ্ছে স্টিভ জবসের নির্দেশনা দেওয়া সবশেষ মডেল। স্মার্টেেফানের আর্বিভাবে এইচপি ও ডেল প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার বাজারে ধস নামে। আধুনিক ঘরানার স্মার্টফোন দিয়ে কম্পিউটারের অনেক কাজকে সহজেই সম্পন্ন করা সম্ভব।
এ বছরেই অ্যাপল ১৭ কোটি স্মার্টফোন বিক্রির লক্ষ্যামাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ মুহূর্তে অ্যাপলের সঙ্গে বাজার লড়াইয়ে মুখোমুখি অবস্থানে আছেন স্যামসাং। চীনের বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরিতে অ্যাপল এবার ৫সি নিয়ে মাঠে নেমেছে। এশিয়ার বাজারে অ্যাপল এবার জাপানের বাজারকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
(২) স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট থ্রি
ফ্যাবলেট ঘরানার ফোন নিয়ে স্যামসাং বছরজুড়েই সুনাম কুঁড়িয়েছে। এটি বাজারে সব ধরনের ফ্যাবলেটের তুলনায় আকারে বড়। মূল পর্দা ৫.৭ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ফুল এইচডি স্ক্রিন, কাজের সুবিধার জন্য এস-পেন, অ্যানড্রইড ৪.৩ অপারেটিং সিস্টেম, ব্লুটুথ, ইনফ্যারেড এবং মাইক্রোইউএসবি ৩.০, ১৩ মেগাপিক্সেল রেয়ার ক্যামেরা এবং ফোরজি নেটওয়ার্কের সব ধরনের সুবিধা দিতে সক্ষম এ ফ্যাবলেট স্মার্টফোন।
(৩) লুমিয়া ৫২০
বছরজুড়েই ঘুরে দাঁড়াতে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে নকিয়া। এ যাত্রায় তাদের মূলমন্ত্র ছিল লুমিয়া ৫২০ মডেল। এটি উইন্ডোজ ঘরানার ফোন হিসেবে বিশ্বে আলোচিত হয়েছে। এ মডেলের বৈশিষ্ট্য ৪ ইঞ্চি পর্দার ৮০০ বাই ৪৮০ রেজ্যুলেশনরে স্ক্রিন। ১ গিগাহার্টজ ডুয়্যাল-কোর প্রসেসর এবং ৫১২ মেগাবাইট জঅগ।
(৪) এইচটিসি ওয়ান
এটি আইফোনকে টক্কর দেওয়ার মতো একমাত্র অ্যানড্রইড ঘরানার ফোন হিসেবে স্মার্টফোন ভক্তদের চাহিদা পূরণ করেছে। এটি ৪.৭ ইঞ্চি পর্দার স্ক্রিনটাচ ফোন। এ ছাড়াও আছে ৪ আলট্রা মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, ১.৭ গিগাহার্টজ কোয়ার-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৬০০ প্রসেসর, ২ জিবি জঅগ এবং ২৩০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি।
(৫) গুগল নেক্সাস ৫
মধ্যম আয়ের ভোক্তাদের জন্য গুগল নেক্সাস ৫ মডেল প্রকাশ করেছে। এটির হার্ডওয়্যার তৈরি করেছে এলজি। বৈশিষ্ট্য ৪.৯৫ ইঞ্চির ফুল এইচডি স্ক্রিন, অ্যানড্রইড ৪.৪ (কিটক্যাট) অপারেটিং সিস্টেম, ৮ মেগাপিক্সেল রেয়ার ক্যামেরা, ৩২ ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ, ২ জিবি এবং জঅগ ২৩০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি।
(৬) মটো এক্স
এ মডেলটি উচ্চমানের স্মার্টফোনের সঙ্গে টেক্কা দিতে নয়, বরং মধ্য আয়ের ভোক্তাদের জন্য মটো এক্স মডেল তৈরি করা হয়েছে। এ মডেলের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে টাচলেস কন্ট্রোল, অ্যাকটিভ ডিসপ্লে, কুইক ক্যাপচার এবং কাস্টোমাইজড অবয়ব তৈরি করা হয়েছে। বৈশিষ্ট্য ৪.৭ ইঞ্চির এইচডি স্ক্রিন, অ্যানড্রইড ৪.৪ (কিটক্যাট) অপারেটিং সিস্টেম, ১০ ক্লিয়ারপিক্সেল ক্যামেরা, ১.৭ গিগাহার্টজ ডুয়্যাল-কোর প্রসেসর, ১৬ ও ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, ২ জিবি জঅগ ২২০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি।
(৭) এলজি জি ফ্লেক্স
বাজারে এসেই এলজি জি ফ্লেক্স মডেল ভক্তদের নজরে আসে। এ পর্দাকে বাঁকানো যায়। আছে ৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৭২০ মেগাপিক্সেল রেজ্যুলেশন (গ্ল্যাসের পরিবর্তে প্ল্যাস্টিক গ্ল্যাস), ২.২ গিগাহার্টজ কোয়াড-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৮০০ চিপসেট, অ্যানড্রইড ৪.২ সিস্টেম এবয ১৩ মেগাপিক্সেল রেয়ার ক্যামেরা।
(৮) নকিয়া লুমিয়া ১০২০
এ মডেলটি বছরের শীর্ষ আলোচনায় উঠে আসে। এর ক্যামেরা ফটো কোয়ালিটির মান নিশ্চিত করে। এতে আছে ৪১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। জিওন এবং এলইডি ফ্ল্যাশ ফিচার টেকনোলজি, ৪.৫ ইঞ্চির অ্যামোলেড স্ক্রিন, পিওর মোশন এইচডি (১২৮০ বাই ৭৬৮) রেজ্যুলেশন, ১.৫ গিগাহার্টজ ডুয়্যাল-কোর প্রসেসর, ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, ২ জিবি জঅগ ২০০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। সঙ্গে আছে এনএফসি সুবিধা।
(৯) এলজি জি২
এ মডেলের বৈশিষ্ট্য ৫ ইঞ্চির ১০৮০ পিক্সেল স্ক্রিন, ২.২ গিগাহার্টজ স্ন্যাপ ড্রাগন ৮০০ চিপসেট, ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ২.২ গিগাহার্টজ স্ন্যাপ ড্রাগন ৮০০ চিপসেট, ১৬ এবং ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, ২ জিবি জঅগ ৩০০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। সঙ্গে আছে এনএফসি সুবিধা।
(১০) এক্সপেরিয়া জেডওয়ান
উচ্চমানের এক্সিকিউটিভ স্মার্টফোন তৈরিতে সনির বাড়তি কদর আছে। এবারও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে সনি। বিশেষ ফিচারের মধ্যে আছে ৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে, ২০.৭ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, জি লেন্স, অ্যানড্রইড ৪.২ অপারেটিং সিস্টেম, ২.২ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ১৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, মাইক্রোএসডি কার্ড, ২ জিবি জঅগ ২০০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি।
বাংলাদেশ সময় ১৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩