ঢাকা: যোগাযোগকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। বর্তমানে ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহাকারী ১২০ কোটির মতো।
বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানধারী সাইট ফেসবুকের অনেক ব্যবহারকারী ফেসবুকিংয়ে আসক্ত। তাদের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে ফেসবুকে । অনেক ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্ট্যাটাস পোস্ট করেন আবার ঘুম থেকে উঠে নতুন স্ট্যাটাস দেন।
কিন্তু এই ফেসবুকিংয়ের যেমন কতিপয় ভালো দিক রয়েছে তেমনি রয়েছে নেতিবাচক কিছু দিকও। এসব নেতিবাচক দিক উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়।
নেতিবাচক দিকগুলোর জন্য ফেসবুকিং ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে ওই গবেষণা ফলাফলে মন্তব্য করা হয়েছে।
ফেসবুকিংয়ের নেতিবাচক দিকগুলো হচ্ছে:
‘ব্যক্তিগত’ অনেক কিছু থাকে না
প্রত্যেকে নিজের কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো অন্যকে কেউ জানাতে চান না। কিন্তু ফেসবুকিংয়ের কারণে আপনি না চাইলেও সেগুলো জানাচ্ছেন। এটা হচ্ছে আপনার মনের অজান্তে। ‘ব্যক্তিগত’ বিষয়কে ব্যক্তিগত রাখতে ফেসবুক ছেড়ে দেওয়াই উত্তম।
পরিবারের নজরদারি
বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মাস্তি করছেন, ঘুরছেন কিংবা কাজে বা পড়াশোনায় ফাঁকি দিচ্ছেন। কিন্তু আপনার ফেসবুকের স্ট্যাস্টাস, ছবিই ধরিয়ে দেবে আপনাকে। আপনি কী করছেন, না করছেন-আপনার প্রত্যেক কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখছেন বাবা-মা, ভাই-বোন কিংবা দাদা-দাদি ও চাচা-চাচিরা।
আপত্তিকর ছবি প্রকাশ
আপনার বাল্যকালের কোনো ছবি, কারও সঙ্গে অন্তরঙ্গ কোনো মুহূর্তের ছবি প্রকাশ করতে চান না। কিন্তু আপনার পরিবারের কেউ বা কাছের কোনো বন্ধু সেই ছবিটিই ফেসবুকে আপলোড করলো। ছবি প্রকাশের পর কমেন্ট আর লাইকের জ্বালায় অনেকের মুখে কালি মাখার মতো অবস্থা হয়। এই অহেতুক যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে পারেন ফেসবুকিং ছেড়ে দিলে।
হতাশার জন্ম দেয়
উতাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণ বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুকে অন্যের সাফল্য বা সুখবর পাওয়ায় নিজের জীবন সম্পর্কে অনেকের হতাশার জন্ম হয়। জীবনকে ইতিবাচকভাবে নেওয়ার মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেন অনেকে।
তবে, আশার কথা হলো সবকিছুর সদ্ব্যবহারে রয়েছে যেমন ভালো ফল,তেমনি রয়েছে ফেসবুকিংয়েও।
বাংলাদেশ সময়:১৭১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৪
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর