বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে আইসিটি কার্যক্রম পূর্ণদ্যমে চালাতে সরকার দেশের এক লাখ হাট-বাজারে হটস্পট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে থাকবে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সুবিধা।
তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সবাই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে সক্ষম হবে ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারবেন। এ দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগে মধ্য দিয়ে দূর হবে ‘ডিজিটাল বৈষম্য’। আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খান রাজধানীর ডেফোডিলস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কর্মশালায় সমাপনী অধিবেশনের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আইসিটি মন্ত্রণালয় ও ইএটিএল (এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লি.) ‘জাতীয পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপলিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ৫ দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের প্রয়াসের সঙ্গে বেসরকারি খাত ও ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির অপরিমেয় সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে তা আত্মকর্মসংস্থানের সঙ্গে দেশের জন্য বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসতে পারবে।
ইএটিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুবিন খানের কর্মশালায় বক্তৃতা করেন আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, ডেফোডিলস ইউনিভার্সিটির ভিসি লুৎফর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হাসান, ইএটিএল’র সিইও ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, ডেফোডিলস ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের প্রধান ড.আখতার হোসনে।
এ কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এ প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীরা পরামর্শ, পুষ্টি, কৃষি, কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পাবলিক লাইব্রেরি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে।
বাংলাদেশ সময় ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৪
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর