ঢাকা: ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এক সেমিনারের বক্তারা। একই সঙ্গে ইন্টারনেট জনপ্রিয় করতে কনটেন্ট বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তারা।
শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে টেলিনর ও গ্রামীণফোন আয়োজিত ‘টেলিনর এক্সচেঞ্জ এমপাওয়ারিং সোসাইটিজ থ্রু ইন্টারনেট ফর অল’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ আহবান জানান।
সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ, জিপিআইটি’র সিইও রায়হান শামসী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান, ডেল-এর সোনিয়া বশির কবির, গণিত অলিম্পিয়াডের মুনীর হাসান, আহতারাম উদ্দিন, এম এ মোবিন খান, নেসার মাকসুদ খান ও টেলিনরের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স-এশিয়া রিজন) হাকন ব্রুসেট জেল।
বিবেক সুদ বলেন, মোবাইল ফোনে এক সময় শুধু কথা বলা হতো। এর সঙ্গে অন্য কিছুর সহায়তা প্রয়োজন হতো না। কিন্তু এখন ইন্টারনেটের সঙ্গে কনটেন্ট ডেভেলপার অত্যন্ত জরুরি। মানুষ কিভাবে বুঝবে ইন্টারনেটের ব্যবহার এটি একটি বড় বিষয়। কারণ, বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ মানুষই জানে না এর ব্যবহার। মোবাইল অপারেটর হিসেবে আমাদের এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে দায়িত্ব রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে আর্থিক সুবিধার বিষয়টি জড়িত। ইন্টারনেটের প্রাপ্ত তথ্য সহজলভ্য করা দরকার। ইন্টারনেটের আরো বেশি বেশি সেবা নিয়ে আসা উচিত।
জিপি আইটির সিইও রায়হান শামসী বলেন, ১৫ বছর ভয়েস কলের পর ইন্টারনেট সবচেয়ে ইমপ্যাক্টফুল ও সস্তা একটি মাধ্যম। বর্তমানে আমেরিকায় ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৭০ শতাংশ, ইউরোপে ৬০ শতাংশ, এশিয়ায় ৩০ শতাংশ। আর বাংলাদেশে এ হার ১০ শতাংশ। এর মধ্যে কার্যকরভাবে ব্যবহারের হার মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, ব্যাংকে যাওয়া কিংবা বিদ্যুতের বিল দিতে যাওয়া এটি ঝামেলার কাজ। যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেউ এটি করতে পারেন, তাহলে যাতায়াত ভাড়া, সময় দুটোই বেঁচে যাবে গ্রাহকের।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ২০১৪ সাল হবে ইন্টারনেট বিপ্লবের বছর। আগামী ৫ বছরে ওয়ান বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়া হবে। আগামী পাঁচ বছরে আমরা এক বিলিয়ন ডলার রফতানি, এক মিলিয়ন পেশাদার আইটি দক্ষশক্তি তৈরি, প্রতি বছর আরো এক কোটি মানুষকে ইন্টারনেট ব্যবহারের আওতায় আনা এবং জিডিপিতে সফটওয়্যার ও আইটি খাত থেকে এক শতাংশ অবদান রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি এবং বিস্তারিত সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
ডেল-এর সোনিয়া বশির কবির বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দু’টি বড় খাত। শুধু শত শত ল্যাপটপ কিংবা বিনামূল্যে শ্রেণিকক্ষে প্রোজেক্টর বিতরণ করলেই হবে না। ইন্টারনেট ফ্রি করে দেওয়া উচিত। তাহলে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘন্টা, মার্চ ০৮, ২০১৪