ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ই-বুক সাইট উদ্বোধন, পৃষ্টপোষকতায় জিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ই-বুক সাইট উদ্বোধন, পৃষ্টপোষকতায় জিপি

ঢাকাঃ অনলাইনে বই পড়ার ওয়েবসাইট চালু করেছে গ্রামীণফোন ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। ‘আলোর পাঠশালা’ নামের কর্মসূচির মাধ্যমে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।



দেশ বিদেশের পাঠকেরা ৭২ টি বই ইন্টারনেটের মাধ্যমে www.alorpathshala.org নামের ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কম্পিউটার, ই-বুক রিডার অথবা মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে বইগুলো পড়া যাবে। এছাড়াও পাঠকেরা বইগুলো ডাউনলোড করতে পারবে।
 
বুধবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বইপড়ার ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

দেশের যেকোনো বয়সের মানুষ ওয়েবসাইটটিতে ঢুকে ফ্রি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সাহিত্যের এই বইগুলো পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবে। শুধু তাই নয় প্রতি চারটি বই পড়াশেষ করলে পুরস্কার হিসেবে একটি বইও পাবেন পাঠকেরা।

উদ্বোধনকালে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের ২৩ হাজার স্কুলে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করা হয়। এছাড়াও সকল শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ই-বুক তৈরি করা হয়েছে। দেশের সব মানুষকে আলোকিত করতে এরকম ডিজিটাল বই ক্যাম্পেইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ’
 
এসময় ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠকদের বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন সৈয়দ তাহমিদ আজিজুল হক বলেন, ‘পাঠকদের অনলাইনে বই পড়ার সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করছি। এই সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। আগামীতে বইয়ের সংখ্যা ৭২ থেকে অনেক বেশি বাড়ানো হবে। গ্রামীণফোন প্রতিটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এই ক্যাম্পেইনের আওয়ায় আনার চেষ্টা করবে। ’
 
এসময় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, আগে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মতো ক্যাম্পেইন চালু করলেও বর্তমানে তা উঠে যাচ্ছে। তবে পাঠকের বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা পাঠককে কাগজহীন বই পড়ার সুযোগ করে দিয়েছি।
 
এমন একটি উদ্যোগে পৃষ্টপোষকতা করার জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আইটি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার বলেন, এই পদ্ধতিতে জ্ঞান চর্চাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যাতে পৃথিবীর কারো পড়তে বাধা নেই। শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়তে ভালোবাসে। আশা করি সকলের প্রচেষ্টায় আমরা দেশের প্রতিটি স্কুলের শিক্ষার্থীকে ই-বুক, অ্যানিমেশন কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা দিতে পারবো।
 
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএস মাহমুদ ছাড়াও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।