ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

স্ম্যার্টফোন মেলায় দর্শক সাড়ায় অভিভূত রবি

ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৪
স্ম্যার্টফোন মেলায় দর্শক সাড়ায় অভিভূত রবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রবি স্ম্যার্টফোন ও ট্যাব মেলায় দর্শকদের অভাবনীয় সাড়ায় অভিভূত এর আয়োজক সংস্থা মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

রবি আজিয়াটার ভাইস প্রেসিডেন্ট (কর্পোরেট কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া রিলেশান্স) তালাত কামাল মেলার আয়োজন সম্পর্কে নিজেদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।



বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপী এই মেলার টাইটেল স্পন্সর ছিল রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

তালাত কামাল বলেন, মূলত থ্রিজি নেটওয়ার্ক প্রমোশনের লক্ষ্যেই এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল রবি। কারণ মানুষের জীবনযাত্রা এখন আর ভয়েস কলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। উন্নত বিশ্বে ভয়েস কলের পরিমান এরই মধ্যে কমে গিয়েছে। বাংলাদেশেও ভয়েস কলের সঙ্গে ডাটা সার্ভিসের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়ছে।

বহুজাতিক কোম্পানির এই তরুণ কর্মকর্তার সঙ্গে মেলা ও এর আয়োজনের বিভিন্ন দিক নিয়ে মেলায় রবির প্যাভিলিয়নে বসেই নানাদিক দিয়ে কথা হচ্ছিল।

‘আসলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে থ্রিজি বিপ্লব প্রয়োজন। ডাটা সার্ভিসের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং, শপিংসহ নিত্যদিনকার বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করছে। এ ধরনের মেলার মাধ্যমে ইন্টারনেটের এসব দিক সম্পর্কে উৎসাহিত করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য’ বলে উল্লেখ করলেন তালাত কামাল।  

মেলায় বিভিন্ন স্ম্যার্টফোন ও ট্যাব নির্মাতার প্রতিষ্ঠানের বিশেষ ছাড় সম্পর্কে তিনি বলেন, চাহিদা রয়েছে বলেই এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ছাড় দিচ্ছে ও হ্যান্ডসেটের দাম কমাচ্ছে। যদি থ্রিজির প্রতি মানুষের উৎসাহ বাড়ে তাহলে শুধু রবি নয়, পুরো দেশই উপকৃত হবে।

থ্রিজির প্রতি মানুষের উৎসাহ বাড়াতে ঢাকা শহরেই নয়, গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন তারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামে ইন্টারনেট মেলার আয়োজন করে রবি হাতে কলমে এর নানা ব্যবহার তরুণ প্রজন্মকে দেখাচ্ছে। কোনো জিনিসের ব্যবহারিক দিক যখন মানুষ দেখতে পায় তখন এর প্রতি উৎসাহ বেড়ে যায়। গ্রামের মানুষ কৃষি তথ্য, আবহাওয়া তথ্য, পণ্যের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছে। এমনকি ইউনিয়ন পর্যন্ত মানুষ ই-তথ্য সেবা যাচ্ছে, সরকারি ভিন্ন সেবাও নিচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। যে কারণে গ্রাম থেকে মানুষকে জেলা সদরে গিয়ে দিনের পর দিন ধরণা দিতে হচ্ছে না।

‘মানুষের আগ্রহ রয়েছে, গ্রাহক হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। অপারেটরদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক। সত্যি বলতে মেলায় নিত্য নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ আমাদেরকে উৎসাহ দিচ্ছে। মেলায় মানুষের এতটা সাড়া আশা করিনি,’ বললেন, তালাত কামাল।         

দেশের টেলিযোগাযোগের অতীতের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে যখন বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়া হলো তখন এই ব্যবসা নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত ছিল। তখন কেউ ভাবতে পারেনি এত দ্রুত এই ব্যবসার প্রসার ঘটবে। আজ ঠিক একইভাবে থ্রিজি সেবা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও দ্রুতই এদেশের জনগণ এই সেবা সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে।

রবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, মানুষ সচেতন হলেই তবে ধীরে ধীরে ভয়েস কল থেকে ডাটা সার্ভিসের দিকে চলে যাবে।
 
থ্রিজির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে পারলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে কুষ্টিয়ায় যেতে হবে না, ঢাকায় বসেই তিনি একটি ক্লাস নিতে পারবেন। কিংবা কুষ্টিয়ার একজন রোগীকে ঢাকায় এসে ডাক্তার দেখাতে হবে না, বাড়িতে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারবে। প্রযুক্তির সদ্বব্যবহার করতে পারলে দেশের অর্থনীতির চেহারা দ্রুতই পাল্টে যাবে- এমনটাই আশা করেন রবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।