ঢাকা: তথ্যের জন্য জনগণকে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে যেতে হবে না, বরং প্রতিষ্ঠানই নিজ উদ্যোগে জনগণের জন্য তথ্য নিয়ে প্রস্তুত থাকবে।
জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে তথ্য প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেন স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করে সে লক্ষ্যে তথ্য কমিশন সম্প্রতি ‘স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ নির্দেশিকা’ অনুমোদন করে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী তথ্য প্রদানকারী প্রতিটি সংস্থা স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রকাশ ও প্রচার নির্দেশিকা তৈরি করবে এবং সে অনুযায়ী তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করবে।
তথ্য প্রকাশ নির্দেশিকা’র মূলনীতি ‘তথ্যের জন্য জনগণ কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে যাবে না বরং প্রতিষ্ঠানই নিজ উদ্যোগে জনগণের জন্য তথ্য নিয়ে প্রস্তুত থাকবে’।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আইন, বিধি বিধান, নোটিশ, ম্যানুয়াল, ডকুমেন্ট অনুমোদিত হওয়ার সঙ্গে সাঙ্গে তা যেন প্রতিবন্ধীসহ সব ব্যবহারকারীর উপযোগী এবং ওয়েবসাইটে নাগরিক সেবার বিবরণ ও সেবা পাওয়ার নিয়মাবলী ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এ আলোচনা সভায় আয়োজন করে।
নির্দেশিকা কারা, কীভাবে, কতটুকু অনুসরণ করছে সে বিষয় বিভিন্ন পর্যায়ে গঠিত ইনোভেশন টিম তত্ত্বাবধান করবে। ইতিমধ্যে এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে জাতীয় বাতায়নের আওতায় দেশের সব সরকারি অফিসের জন্য ২৪ হাজারের বেশি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএসএম মাহবুবুল আলম।
এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের চিফ ইনোভেশন অফিসার (সিআইও), তথ্য অধিকার ফোরামের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৪