ঢাকা: দ্য গার্ডিয়ান তার সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলেছে- মূল ধারার সংবাদমাধ্যমের জন্য সময় এসেছে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে অ্যাডপ্ট করে নেওয়ার। বুধবার রাতে বাংলানিউজের ফেসবুক ফ্যানের সংখ্যা যখন ১৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়, তখন সে কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেলো এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের কন্ঠে।
পাঠকই সংবাদমাধ্যমের শক্তি। এই পাঠকের পাল্লা যত ভারি হয় ততই এর শক্তি বাড়ে। সংবাদমাধ্যমটি তখন অনেক বেশি করে হয়ে ওঠে সমাজের, অনেক বেশি পাঠকের। আর পাঠকও তাদের নিজস্ব মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে নেয় ওই সংবাদমাধ্যমকে। সংবাদমাধ্যমটিও পেয়ে যায় বাড়তি শক্তি।
কোটি পাঠকের সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এখন এই শক্তিই ধারণ করে।
বিশ্বব্যাপী অনলাইন র্যাংকিং প্রতিষ্ঠান অ্যালেক্সা.কম দেখাচ্ছে বাংলানিউজের ২২.৮ ভাগ পাঠক আসে ফেসবুক থেকে।
এ থেকে স্পষ্ট হওয়া যায়- সামাজিক মিডিয়ায় যাদের বিচরণ তাদের মধ্যে রয়েছে মূল ধারায় সংবাদমাধ্যমে যখন তখন ঢুকে পড়ার প্রবণতা ও আগ্রহ। তারই জেরে ফেসবুকে বাংলানিউজের তৈরি হয়েছে নিজস্ব ফ্যান গোষ্ঠী। যার সংখ্যা এখন দেড় মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেলো।
অনলাইন জগতে বাংলানিউজকে ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং সংবাদমাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কারণ এত অল্প সময়ে এত বিশাল একটি পাঠক গোষ্ঠী সৃষ্টি করেছে বাংলানিউজ যা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমই পারেনি।
যাত্রা শুরুর মাত্র চার বছর পার করে বাংলানিউজ এখন প্রতিদিনই কোটি পাঠকের সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর মধ্যে বাংলানিউজের ফেসবুক বন্ধু বাড়ার হার সবচেয়ে বেশি ও দ্রুতগতির। এই অগ্রযাত্রায় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে বাংলানিউজ কয়েকগুণ এগিয়ে।
ফেসবুকে বাংলানিউজের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে। সেই হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ৭ লাখ ৫০ হাজার করে ফেসবুক ফ্যান বেড়েছে বাংলানিউজের। দ্বিতীয় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবছর ফেসবুক ফ্যান বেড়েছে ৬২০০০ জন করে। আর তৃতীয় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষেত্রে এই হার বছরে ৩ লাখ ৭৬ হাজার জন।
ফেসবুকের বন্ধুরা বাংলানিউজের পাতায় কতটা সক্রিয় তা বুঝতে তাকাতে হবে এর খবরগুলোর ফেসবুক শেয়ারের পরিসংখ্যানের দিকে। প্রতিটি খবর ৫ থেকে ১০ হাজার শেয়ার হয়। একটু আকর্ষণীয় হলেই তা ১৫, ২০, ২৫, ৩০ থেকে ৫০ হাজার শেয়ার হতে থাকে। সমসংখ্যক লাইকও পড়তে থাকে খবরগুলোতে। আর কোনো কোনো খবর লক্ষাধিক ফেসবুক শেয়ার হয় ও লাইক পড়ে।
বাংলানিউজের যাত্রা শুরুর পর থেকেই অবিরাম চলছে পাঠক আকৃষ্ট করার প্রয়াস। এখানে একমাত্র হাতিয়ার খবর। পাঠক তার প্রয়োজনের খবরটি সবার আগেই বাংলানিউজের পাতায় পেতে চান। এটাই বাংলানিউজের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম শক্তি।
সামাজিক মাধ্যম ছাড়াও অন্তর্জাল জগতের নানা মাধ্যমের শত হাতছানির মাঝেও পাঠক বাংলানিউজে অবস্থান করছে। আর তা কেবলই এর কনটেন্টে বিচিত্র স্বাদ ও দিকমাত্রার জন্য।
গড়ে প্রতি পাঠক বাংলানিউজে অবস্থান করেন ৯ মিনিট ৩০ সেকেন্ড। প্রতিজন গড়ে ৫টি করে খবর পাঠ করেন। আন্তর্জাতিকমানের অনেক সংবাদমাধ্যমের চেয়েও এই সংখ্যা ও সময় বেশি। বাংলাদেশের যে কোনো সংবাদমাধ্যমের চেয়ে বাংলানিউজের পাঠক ধরে রাখার ক্ষমতা বেশি, সেকথা অনুস্বীকার্য। এর মানে এই যে, পাঠক বাংলানিউজে আসেন, অবস্থান করেন এবং পড়েন একের পর এক তার পছন্দের খবর, ফিচার কিংবা মতামত।
পাঠককে আকৃষ্ট করার এই সংগ্রামে বাংলানিউজের কর্মীরা প্রতিনিয়তই তৈরি করছেন নতুন নতুন কনটেন্ট। তার মধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে পাঠকের অন্যতম আগ্রহের ইস্যু খেলা, শিল্প-সাহিত্য, লাইফ স্টাইল, বিনোদন।
এভাবেই বাংলানিউজ সারাক্ষণ হয়ে থাকছে সংবাদ-বিনোদনের আধার।
সেখানে বিচরণ লক্ষ-কোটি পাঠকের। ফেসবুকের অর্ধকোটিরও বেশি বাংলাদেশি ইউজারের মধ্যে দেড় মিলিয়নই বাংলানিউজের পাতায় সক্রিয়।
বুধবার সন্ধ্যায় এই দেড় মিলিয়নের মাইল ফলকটি পার হয়েছে। তাদের জন্য বাংলানিউজের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলানিউজ।
বাংলাদেশ সময় ১৪৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৪