ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন বড় ধরনের অংশীদার। দারিদ্র্য দূরীকরণ, উন্নয়নসহ তথ্য প্রযুক্তির আধুনিকতর সেবা দিয়ে গ্রামীণফোন এই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
দেশে ৫ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন উপলক্ষে বুধবার গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক উদযাপন অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
দেশের প্রথম মোবাইল টেলিযোগাযোগ অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোন ৫ কোটি গ্রাহক মাইলফলকে পৌঁছালো। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ। বক্তব্য পর্ব শেষে জুনাইদ আহমেদ পলক কেক কাটেন।
এ সময় বিটিআরসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান আহসান হাবিব, গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) অ্যালান বন, চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মেদহাত এল হোসাইনীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৫ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক অর্জনের যে টার্গেট দিয়েছে, আমি সেই লক্ষ্যকে স্বাগত জানাই। ওই বিশেষ অর্জনের দিনও এভাবে কেক কেটে উদযাপন করতে চাই। ’
বর্তমানে গ্রামীণফোনের সক্রিয় ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা এক কোটি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসেবে বর্তমানে সবগুলো মোবাইল অপারেটর ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ছাড়িয়েছে।
১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যাত্রা শুরু করে গ্রামীলফোন। বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক এখন গ্রামীণফোনের। ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ লক্ষ্যের আওতায় গ্রামীণফোন প্রথম অপারেটর হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলায় থ্রিজি সেবা পৌছে দিয়েছে। দেশজুড়ে বর্তমানে গ্রামীণফোনের ৮ হাজার ৬শ’ বেস স্টেশনের মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ জনগণের মাঝে মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৪