ঢাকা: পছন্দের স্মার্ট ফোন, ট্যাবসহ তথ্য প্রযুক্তির নানা ডিভাইস কিনে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই বাড়ি ফিরলেন ক্রেতারা। নতুন পণ্যের সঙ্গে পরিচিতি হওয়ার পাশাপাশি মূল্য ছাড় অথবা উপহার ক্রেতাদের খুশিকে বেশ বাড়িয়েই দিয়েছে বৈকি।
তবে এই মূল্য ছাড়ের কারণে কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হন সেদিকে কঠোর নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী গ্রামীণফোন স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার শেষ দিনে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়।
মেলার শেষ দিনে ট্যাব কিনেছেন মোস্তফা খান। বললেন, প্রযুক্তির প্রসার চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। এ মেলার কথা শোনার পর আমার মনে হয়, সবাই অন্তত ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছে।
ফার্মগেট থেকে আসা এ বেসরকারি কর্মকর্তা বলেন, মেলায় বেশ আকর্ষনীয় দামে ট্যাব কিনেছি। তবে মেলায় আরো স্টল থাকলে ভালো হতো।
‘একই কনফিগারেশনের পণ্যের দাম বিভিন্ন রকমের। এক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে দ্বিধায় পরতে হচ্ছে। কিছু কিছু পণ্যের ডিসকাউন্টের পরিমাণও বেশ বেশি। এটা ভালো
তবে, সেক্ষেত্রে ক্রেতারা যেন তা দীর্ঘ সময় ব্যবহার করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। ’-বলছিলেন মিরপুর থেকে আসা সরকারি চাকুরে আজিজুর রহমান।
রাজধানীর মালিবাগ থেকে আসা শাহিনুর রহমান বলেন, মেলায় ডিসকাউন্ট থাকবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু পণ্যেগুলোর মান ভালো থাকতে হবে। অন্যথায় ডিসকাউন্টের পণ্যের প্রতি আগ্রহ কমে যাবে।
ফেরদৌস হাসান নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, অধিক ছাড়ের পণ্যেগুলো বেশ পুরোনো। যেটা কিনলাম সেটার কিন্তু ছাড় একেবারেই কম। তারপরও বেশ ভালোই বলবো। কারণ অনেকগুলো পণ্য দেখার সুযোগ আছে এ মেলায়।
এর আগে ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টায় তিন দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়। মূল আয়োজনে ছিল এক্সপো মেকার।
টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিল বেসরকারি মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।
আর কো স্পন্সরে হিসাবে ছিল আসুস, হোয়াইও, লেনেভো, স্যামসং ও সিম্ফনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪