ঢাকা: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিমকার্ড নিবন্ধনের উদ্যোগের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ট্যাক্স আরোপের কথা বললেও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বলছে, গ্রাহককে তা দিতে হবে না।
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলছেন, গ্রাহকরা একবার ট্যাক্স দিয়েছেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভায় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন এবং নাম তথা সিমের মালিকানা বদলের জন্য ট্যাক্স আরোপের কথা জানান।
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রাহক সিম কেনার সময় একবার ট্যাক্স দিয়েছেন, আর দিতে হবে না। বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে ছাড় দিতে হবে। এজন্য এনবিআরকে চিঠি লিখবো।
‘কারণ, এক জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ৬০ হাজার সিম নিবন্ধনেরও তথ্য আছে। নতুন নিবন্ধনের আওতায় অনেক গ্রাহককে ট্যাক্স গুণতে হবে। ট্যাক্স মওকুফের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি’- বলেন প্রতিমন্ত্রী।
অপারেটরগুলোকে তদের গ্রাহক সংখ্যার তথ্য টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে জমা দিতে বলেছেন তারানা হালিম।
বিটিআরসি’র সর্বশেষ নভেম্বর মাসের তথ্যানুযায়ী, ছয়টি মোবাইল অপারেটরের মোট গ্রাহক ১৩ কোটি ৩১ লাখ ৬৩ হাজার।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন শেষে পরবর্তীতে একটি সিম বাড়লেও ট্যাক্স দিতে হবে- বলেন তারানা হালিম। আর মার্চের পর অনিবন্ধিত সিম পাওয়া গেলে অপারেটরগুলোকে সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানা গুণতে হবে বলে আগেই জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে সিম নিবন্ধনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। অপারেটরগুলো সার্ভিস সেন্টার ও রিটেইলার পর্যায়ে সিম নিবন্ধন করছে।
আঙুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গত ২১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। ১ নভেম্বর থেকে অপারেটরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস/এএসআর
** মন্ত্রী-এমপিদের সিম নিবন্ধন সংসদ ভবনে