ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের ভ্যাট আদায়ে চাপ প্রয়োগ করা হবে না

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের ভ্যাট আদায়ে চাপ প্রয়োগ করা হবে না এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা দক্ষিণ) সাথে বিসিএস সদস্যদের মতবিনিময় সভা

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের বন্ধু। দেশ এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ভূমিকা রাখে।

কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের জন্য আমাদের সহযোগিতার হাত সবসময় উন্মুক্ত। খুচরা কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের ভ্যাট দেয়ার ক্ষেত্রে সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

বুধবার বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ইনোভেশন সেন্টারে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা দক্ষিণ) সাথে বিসিএস সদস্যদের মতবিনিময় সভায় কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ভ্যাটের ব্যাপারে যে কোনো ধরণের সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত। বর্তমানে আমাদের লোকবলের অভাব রয়েছে, কিন্তু চলতি বছরে সরকার এই খাতে আরো ১ হাজার লোক নিয়োগ দেবে। এতে করে আমাদের সেবার মান উন্নত হবে।

কমিশনার জানান, আগামী জুলাই মাস থেকে অনলাইন সেবা চালু হবে। কারণ রিটার্ন ফর্ম নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে, কিন্তু এই ফর্ম পূরণ করা ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলার মতোই সহজ কাজ।

সভায় বিসিএস সভাপতি আলী আশফাক বলেন, কম্পিউটার খাতে তিনটি স্তরকেই ভ্যাটমুক্ত করা উচিত। কম্পিউটার ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দিতে আগ্রহী। তবে কিভাবে ব্যবসাবান্ধব ভ্যাট নির্ধারণ ও প্রদান নীতি প্রণয়ন করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। ভ্যাটের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ভ্যাট কমিশনকে আন্তরিকতার সাথে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাও করতে হবে।

বিসিএস মহাসচিব বলেন, কম্পিউটার পণ্যে খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট দিতে হলে গ্রাহকদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ল্যাপটপের মূল্য সামান্য বাড়ানো হলেই শিক্ষার্থীদের তা কিনতে কষ্ট হয়। তাই প্রযুক্তিপণ্য গ্রাহকদের কাছে সহজলভ্য করতে এই খাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখা উচিত।  

বিসিএস’র প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমান বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা যেহেতু আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট দিচ্ছি, সেহেতু আমদানি ভ্যাট ফেরত দিলে খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট দেয়া সম্ভব।

ভ্যাট আদায়ে যুক্তিসংগত কারণ নিয়ে বিচার করা হয় না যেটি একটা সমস্যা। এতে ব্যবসায়ী এবং ভ্যাট কর্মকর্তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ রয়ে যায়।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিসিএস উপদেষ্টা ফয়েজুল্যাহ খান।

তিনি বলেন, আগে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে আইসিটি পণ্যে আমরা ভ্যাট দিব কি না। সরকার যেহেতু আইসিটি খাতকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে, তাই সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষে এই খাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখা উচিত।

মতবিনিময় সভায় বিসিএস পরিচালক মো. শাহিদ-উল-মুনির, এ.টি. শফিক উদ্দিন আহমেদ ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শাফকাত হায়দারসহ অন্যান্য বিসিএস সদস্যবৃন্দ এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা দক্ষিণ) যুগ্ম কমিশনার মো. বশির আহমেদ, সহকারি কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন ও তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।