ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কাউন্টারপয়েন্টের গবেষণায় আস্থার শীর্ষে নোকিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২০
কাউন্টারপয়েন্টের গবেষণায় আস্থার শীর্ষে নোকিয়া

ঢাকা: স্মার্টফোন হ্যান্ডসেট ডিভাইসগুলোর মধ্যে নির্ভতায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছে জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ড নোকিয়া। হংকংভিত্তিক গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের এক গবেষণায় নির্ভরতা বা আস্থাসহ বেশ কয়েকটি সূচকের আলোকে শীর্ষস্থান পায় নোকিয়া।

গবেষণায় নোকিয়ার সঙ্গে আরও আছে ওয়ালপ্লাস, স্যামসাং, রিয়েলমি এবং শাওমির মতো মোবাইল হ্যান্ডসেট।

সম্প্রতি প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট টেকনোলজি মার্কেট রিসার্চ নিজেদের এ গবেষণা ভিত্তিক র‍্যাংকিং প্রকাশ করে। ট্রাস্ট র‍্যাংকিং বা আস্থা তালিকা ২০২০ শিরোনামে টানা দ্বিতীয়বার এ তালিকা র‍্যাংকিং প্রকাশ করা হয়।

সফটওয়্যার, সিকিউরিটি আপডেট, বিল্ড কোয়ালিটি বা তৈরির মান এবং ব্যবসায়ের জন্য উপযুক্ততা-এ চারটি মানদণ্ডে এবছরের র‍্যাংকিং করে কাউন্টারপয়েন্ট। এ জরিপে বাজারের প্রায় সব জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন যাচাই-বাছাই করে দেখা হয় বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির। জরিপে দেখা যায়, নোকিয়া, ওয়ানপ্লাস, স্যামসাং, রিয়েলমি ও শাওমির ফোন মানদণ্ডের বিচারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে।

কাউন্টারপয়েন্টের জরিপ যাচাইয়ের মানদণ্ডের মধ্যে সিকিউরিটি আপডেট বা নিরাপত্তার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়। কাউন্টারপয়েন্ট বলছে, বাজারের সব স্মার্টফোন ব্র্যান্ডে একইরকম আপডেট নেওয়া হয় না। আবার ব্যবহারকারীরাও আপডেটের বিষয়টি নিয়ে তেমন একটা সচেতন নন। তবে কোভিডের এ সময়ে সফটওয়্যার এবং নিরাপত্তা বিষয়ক নিয়মিত আপডেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই বিবেচনায় কাউন্টারপয়েন্টের জরিপে নোকিয়া, ওয়ানপ্লাস এবং স্যামসাং সবচেয়ে বেশিবার সিকিউরিটি আপডেট নিয়েছে। আবার আপডেট নেওয়ার সময় বিবেচনায় দেখা যায় নোকিয়া, লেনোভো এবং ওয়ানপ্লাস স্মার্টফোন সবচেয়ে কম সময়ে আপডেট নিতে সক্ষম।

জরিপে দেখা যায়, মাত্র দু'টি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড নিয়মিত সফটওয়্যার এবং সিকিউরিটি আপডেট তাদের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে। ব্র্যান্ড দু'টি হলো- নোকিয়া এবং ওয়ানপ্লাস। তথ্যের নিরাপত্তা, ম্যালওয়্যার প্রতিরোধ এবং ফিশিং আক্রমণ মোকাবিলায় এ দু'টি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে বলেও জরিপে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি।

বাজারের সবচাইতে টেকসই স্মার্টফোন এবং স্মার্টফোনের গড় আয়ু নির্ধারণের জন্য প্রস্তুত ও মোড়কজাতের বেশ কিছু বিষয়ের ওপর গবেষণা করে দেখা হয়। তার মধ্যে রয়েছে- হাত থেকে অসাবধানতাবশত পড়ে গেলে, ঘষা বা চাপ লাগলে কোন স্মার্টফোন অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার অনেকক্ষণ ব্যবহারের পর গরম হয়ে যাওয়া বা ধীরগতির বিষয়গুলোও এ গবেষণায় উঠে এসেছে। এসবদিকের বিবেচনায় চাপ লাগা বা হাত থেকে পড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নোকিয়া সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত স্মার্টফোন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা বলেন, কোভিড ১৯ এর সময়কালে স্মার্টফোনের প্রতি মানুষের ঝোঁক এবং নির্ভরতা দুটোই অনেক বেশি বেড়েছে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক নানা ধরণের ঝুঁকি। সাইবার অ্যাটাক, ফিশিং অ্যাটাক, হ্যাকিংসহ বিভিন্ন ধরণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কোটি কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ও নিরাপত্তা। এসবদিক বিবেচনায় নোকিয়ার সফটওয়্যার নির্মাতা ও রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবাল কাউন্টারপয়েন্টের আস্থা র‍্যাঙ্কিং-এ ব্যবসায়ের জন্য উপযুক্ত স্মার্টফোন কোম্পানি হিসেবে শীর্ষে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
এসএইচএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।