ঢাকা: ইরাকের শিয়া নিয়ন্ত্রিত সরকার কর্তৃক পলাতক ঘোষিত দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিক আল হাশিমি কাতার পৌঁছেছেন। তবে নিজ দেশে পলাতক ঘোষিত হলেও কাতারের সরকারি সংবাদমাধ্যম তার সফরকে আনুষ্ঠানিক সফর হিসেবে অভিহিত করেছে।
রোববার তারিক আল হাশিমির এই অপ্রত্যাশিত সফর এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন তার মাথার ওপর ইরাকের শিয়া নিয়ন্ত্রিত সরকারের গ্রেফতারি পরোয়ানা ঝুলছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরপরই তিনি ইরাকের অর্ধ স্বায়ত্বশাসিত উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দিশ এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করেন।
শিয়া বিরোধী সুন্নি ডেথ স্কোয়াড গঠনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ইরাকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে হাশিমি তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ প্রত্যাখান করে দাবি করেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই এই অভিযোগ সাজিয়েছে।
তারিক আল হাশিমি যেন ইরাক ত্যাগ না করতে পারে সেজন্য গত মাসে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কুর্দি নেতাদের প্রতি তাকে অবিলম্বে ইরাকি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তরের দাবি করে। তবে কুর্দি নেতৃত্ব ইরাকি সরকারের এই আহবানে কর্ণপাত করেনি। আধা স্বায়ত্বশাসিত কুর্দি অঞ্চলের নিজস্ব সরকার ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। উল্লেখ্য ইরাকি কুর্দিরাও সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্ত।
তারিক আল হাশিমি কাতারে বেশ কয়েকদিন অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছে কাতার নিউজ এজেন্সি। রাজধানী দোহার বিমান বন্দরে ইরাকি ভাইস প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন নাসের বিন জসিম আল থানি। সফরকালে হাশিমি কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন হাশিমির সহকর্মীরা।
এদিকে তারিক আল হাশিমিকে ইরাক ত্যাগ করতে দেওয়ার সমালোচনা করে কুর্দিস্তানের আর্বিল শহরের বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছে ইরাকের শিয়া নিয়ন্ত্রিত সরকার। ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা বলেন আরবিল বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষকে আইনিভাবে জবাবদিহি করা হতে পারে। তারিক আল হাশিমির বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও তাকে দেশ ত্যাগ করতে দিয়ে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ভঙ্গ করেছে।
এর আগে রোববার প্রধানমন্ত্রী মালিকি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,‘আরবলীগের সদস্যদের হাশিমিকে স্বাগত জানানো ও আশ্রয় দেওয়া উচিৎ হবেনা। ’
বাংলাদেশ সময়:১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর