ঢাকা: ৯/১১’র টুইন টাওয়ার হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ সন্দেহভাজন আল কায়েদা সদস্যকে বিচারের সম্মুখীন কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
খালিদ মোহাম্মদ শেখ সহ গুয়ানতানামো কারাগারে বন্দি পাঁচ আল কায়েদা সদস্যকে গুয়ানাতানামোতেই স্থাপিত একটি সামরিক কমিশনের সামনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
খালিদ শেখ মোহাম্মদ ছাড়াও অন্য চারজন অভিযুক্ত হলেন ওয়ালিদ বিন আত্তাস, রামজি বিন আল শিব, আলি আব্দ আল আজিজ আলি এবং মুসতাফা আহমেদ আল হাওয়াসি। অভিযুক্তরা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেমবার টুইন টাওয়ার হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেপ্টেমবার ১১ তারিখে পরিচালিত ওই হামলায় নিউইয়র্ক,ওয়াশিংটন এবং পেনসিলভানিয়ার কয়েকটি নির্দিষ্ট টাগের্টে আছড়ে পরে ছিনতাইকৃত কয়েকটি যাত্রীবাহী বিমান। মার্কিন হিসেবে ওই দিনের হামলায় মোট ২ হাজার ৯৭৬ জন নিহত হয়।
এদিকে বন্দি শিবিরে খালিদ শেখ মার্কিনীদের হাতে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০০৩ সালের মার্চে তিনি পাকিস্তান থেকে গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীতে তাকে গুয়ানতানামো কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
খালিদ শেখ অভিযোগ করেন তাকে কারাগারে ধারাবাহিক ভাবে অত্যাচার করা হতো। সিআইএ’র গোপন নথিপত্রেও তার ওপর নির্যাতনের কথা স্বীকার করা হয়। সিআইএ’র প্রকাশিত নথিতে দেখা যায় তাকে মোট একশ তিরাশিবার বিভিন্ন ধরণের নির্যাতনের সম্মুখীন করা হয়। ওয়াটার বোর্ডিংয়ের মতো কুখ্যাত নির্যাতন পদ্ধতিও তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় কারাগারে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৯/১১ ছাড়াও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনতে যাচ্ছেন মার্কিন কৌসূলিরা। এর মধ্যে রয়েছে ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি নাইট ক্লাবে বোমা হামলা, ১৯৯৩ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বোমা হামলা, মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে হত্যা এবং জুতার ভেতর রাখা বোমার সাহায্যে ২০০১ সালে একটি যাত্রীবাহী বিমান উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়:১২০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর