ঢাকা: প্রয়াত লিবীয় নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম কারাগারে শারীরিকভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন এবং তাকে নির্জন কক্ষে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আইনজীবী।
এ অভিযোগের পর আইসিসি’র বিবাদী পক্ষের আইনজীবী জাভিয়ের জ্যাঁ কিতা সাইফ আল ইসলামকে আইসিসিরি কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের নভেম্বরে আটক হন সাইফ। এর পর থেকেই সাইফের বিচার কোথায় হবে এই বিতর্কে আইসিসি এবং লিবিয়া কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
লিবিয়া চাচ্ছে সাইফের বিচার দেশের প্রচলিত আদালতেই হোক। দেশীয় আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তার মৃত্যুদণ্ড হবে। কিন্তু গত বুধবার নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি বলেছে, সাইফকে বিচারের জন্য হেগে প্রত্যর্পণ করা হোক। আর আইসিসিতে দোষী সাব্যস্ত হলে সাইফের মৃত্যুদণ্ড হবে না বরং তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
আইসিসির বিবাদী পক্ষের পাবলিক কাউন্সেল অফিসের প্রধান কাউন্সেল জাভিয়ের জ্যাঁ কিতা এক ইমেইল বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, সাইফ আল ইসলামকে লিবিয়াতে আটক করার সময় তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দাঁতের চিকিৎসার অভাবে অসহ্য যন্ত্রণা সইতে হয়েছে তাকে। লিবিয়া কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ’
লিবিয়াতে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরুর পর বিরোধীদের হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১১ সালের জুনে সাইফ আল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।
আটকের পর লিবিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছিল, সাইফকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
কিতা অভিযোগ করছেন, লিবিয়া কর্তৃপক্ষ সাইফকে ১৩৯ দিন ধরে আটক রেখেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত একজন বিচারকেরও মুখোমুখি তাকে করা হয়নি। এমনকি তাকে তার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি বা তাদের তার সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি।
কর্মকর্তা এবং বিচারিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের সময় ছাড়া সাইফকে নির্জন কক্ষে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন কাউন্সেল জাভিয়ের জ্যাঁ কিতা।
বাংলাদশে সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর