ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি মেনে নেবে যদি এই ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রমাণ করতে পারে তারা কোনো পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না।
মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে।
পত্রিকাটিতে আরো জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা এ ধরনের একটি বার্তা তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়েপ এরদোগানের মাধ্যমে ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিইর কাছে গত সপ্তাহে পাঠিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে ওবামা ইরানের প্রতি এমন সংকেত দিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি মেনে নেবে যদি শীর্ষ নেতা খামেনিই তার ‘ইরান কখনো পরমাণু অস্ত্র বানাবে না’ এই দাবির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেন।
উল্লেখ্য, ইরান সফরের কয়েক দিন আগে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী এরদোগান সিউলে ওবামার সঙ্গে দুই ঘণ্টার একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা সিরিয়া এবং ইরান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। আর ওই বৈঠকেই খামেনিইকে উপরোক্ত বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
এদিকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বের ছয় জাতির সঙ্গে ইরান আলোচনা টেবিলে বসবে বলে গত বৃহস্পতিবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য আলোচনার স্থান ইস্তাম্বুল না বাগদাদ হবে এ বিতর্কের এখনো অবসান হয়নি। ইরান চায় আলোচনার স্থান হবে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ওবামা এরদোগানকে এ ব্যাপারেও অনুরোধ জানিয়েছেন যে, তিনি যেনো খামেনিইকে বলেন, ইরানের বুঝা উচিৎ বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সরাহা করার এটাই সময় এবং বর্তমানে আলোচনার যে নতুন দুয়ার খুলে গেছে তেহরানের সে সুযোগ গ্রহণ করা উচিৎ।
তবে ইরান বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচির জন্য দেশেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যেতে পারবে কি না সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি ওবামা। এই বিষয়টি হয়ত তিনি আলোচনার জন্য রেখে দিয়েছেন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে তুরস্ক শুক্রবার বলেছে, তারা ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হতে প্রস্তুত। তবে ইরান চায় আলোচনার স্থান হোক বাগদাদ অথবা চীন।
প্রসঙ্গত, ইরানের সঙ্গে ছয় জাতি- ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় অচলাবস্থা চলছে ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর