ঢাকা : কিশোর বয়সে চপলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুল পালানোর ঘটনা খুবই সাধারণ। খুব কম শিক্ষার্থীই আছে যে স্কুল পালাইনি বা কোনো অজুহাতে স্কুলে অনুপস্থিত থাকেনি।
ওমরের শিক্ষকরা বলেছেন, সে একদিনও অনুপস্থিত ছিল না। এ ব্যাপারে ওমর বলেছে, সে উদ্দেশ্যমূলক বা পরিকল্পিতভাবে এটা করেনি। প্রথম প্রথম স্কুলে যেতে ভাল লাগত তাই নিয়মিত যাওয়া। কিন্তু দশম শ্রেণীতে ওঠে সে সঙ্কল্প করল, একদিনও স্কুল কামাই দেবে না।
ওমরের বাবা মোহাম্মদ ইকরাম একজন ব্যবসায়ী। তিনি কানপুরের চামড়ার কারখানাগুলোতে লবণ সরবরাহ করেন। ওমর স্কুলের প্রতি এতোটাই আসক্ত যে, অতিবৃষ্টিতে তার এলাকা প্লাবিত হলে এমনকি প্রচণ্ড জ্বর নিয়েও সে স্কুলে গেছে।
একদিনের ঘটনা, কানপুরে ওমরের গ্রাম নায়ি সাদাকে যখন হাঁটু পানি তখন বাবার স্কুটারটি রাস্তায় বের করা যাচ্ছিল না। তখন স্থানীয় এক দিনমজুরের বাইসাইকেল ধার করে সে স্কুলে গেছে।
এই অর্জনের জন্য মা নূর হাশমিকেই সব কৃতিত্ব দিলো ওমর। সে বলে, মায়ের সার্বক্ষণিক প্রেরণাতেই সে কখনো স্কুল ফাঁকি বা কামাই দেয়নি।
ওমর বলে, ‘তিনি সব সময়ের জন্যই একটি অনুপ্রেরণা। ’ তার ছোট ভাই এখন দশম শ্রেণীতে পড়ে সেও কখনো স্কুল কামাই দেয়নি।
এই অসম্ভব অর্জনের জন্য ওমর গিনেজ ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডে আবেদন করেছে। আশা করা হচ্ছে ওমর গিনেজ বুকে স্থান করে নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর