ঢাকা: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে অবতরণ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী জেমস ক্যামেরন। জাপান দিয়েই এশিয়া সফর শুরু করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তি গুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করাই ক্যামেরনের এই সফরের মূল লক্ষ্য বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। তবে সফরের আলোচ্যসূচিতে উত্তর কোরিয়া ও ইরান ইস্যুসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিষয়ও অর্ন্তভুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ক্যামেরনের জাপান সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ প্রথমবারের মত যৌথভাবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদি উৎপাদন করবে।
তবে সফরসঙ্গী হিসেবে ব্যবসায়ীদের আধিক্য সম্বন্ধে রসিকতা করে ক্যামেরন বলেন, প্লেনে ব্যবসায়ী ভর্তি করে ব্রিটেনের পতাকা নিয়ে বাণিজ্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়া তার চাকরির একটি অংশ।
সফরের শেষ পর্যায়ে ক্যামেরন মিয়ানমারে যেতে পারেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম । সম্প্রতি মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত একটি উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সুকির দলের জয়লাভের প্রেক্ষিতে দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণকে উৎসাহ দেওয়াই ক্যামেরনের সফরের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
তবে ডাউনিং স্ট্রিট এখনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর সম্বন্ধে নিশ্চিত করে কিছু জানায় নি।
এশিয়া সফরে ক্যামেরনের সঙ্গীদের মধ্যে আছেন সংস্কৃতি মন্ত্রী জেরেমি হান্ট, বিজ্ঞান মন্ত্রী ডেভিড উইলেটস, প্রধান বৈজ্ঞানিক স্যার জন্য বেডিংটন এবং ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বিএই সিস্টেমসসহ ব্রিটেনের নামকরা ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা।
ইউরোজোনের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে গত বছরে ক্যামেরনের পরিকল্পিত জাপান সফর স্থগিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর