ঢাকা : চলতি বছরে মেধাবী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশি বেতনের আশায় ব্যাপক হারে চাকরি পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছে সিঙ্গাপুরের ব্যাংকগুলো। সম্প্রতি দেশটির আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এক জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক পরিসেবার বেতন গাইডের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ ব্যক্তির মধ্যে আট জনই আশঙ্কা করছেন, আগামী ১২ মাসের মধ্যে তাদের সেরা কর্মকর্তারা কোম্পানি ছেড়ে চলে যাবে। আর মেধাবী লোক পেতে তাদের রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামতে হবে।
এমন উদ্বেগ বড় কোম্পানিগুলোর এক হাজারের বেশি স্টাফদের মধ্যে সবচে বেশি। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশ তাদের সেরা স্টাফরা কোম্পানি ছেড়ে চলে যাবেন এই ভেবে চিন্তিত।
জরিপে আরো পাওয়া গেছে, আর্থিক ও হিসাবরক্ষণ পদে উপযুক্ত লোক প্রতিস্থাপনে এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় সিঙ্গাপুরে অনেক বেশি সময় লাগে। যেমন: ব্যবস্থাপনা পদে উপযুক্ত কর্মকর্তা প্রতিস্থাপনে সিঙ্গাপুরে সময় লাগে ৬ দশমিক ৫ সপ্তাহ যেখানে সাংহাইয়ে লাগে ৫ দশমিক ৯ সপ্তাহ, হংকংয়ে লাগে ৬ দশমিক ৪ সপ্তাহ আর জাপানে লাগে মাত্র ৪ দশমিক ৯ সপ্তাহ।
এ জরিপে দেখা গেছে, কমপ্লায়েন্স এবং মানি লন্ডারিং বিরোধী কর্মকাণ্ড বিষয়ক চাকরির চাহিদা সবচে বেশি। আজকাল একজন শীর্ষ পর্যায়ের কমপ্লায়েন্স বিশেষজ্ঞ বাৎসরিক বেতন দুই লাখ ২০ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার আশা করেন। এই বেতন গত দু’বছরের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি।
এই প্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলো ২০১২ সালের প্রথম অর্ধাংশে বিদ্যমান কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। অপরদিকে ব্যাংক ছাড়া অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এক চতুর্থাংশ একই সময় পেশাদার অর্থবিশেষজ্ঞদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা করছে।
আর এসব প্রতিষ্ঠানে আগামী ১২ মাসের মধ্যে কর্মকর্তাদের বেতন অনেক বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর্থিক পরিসেবা এবং ব্যাংক খাত ধারণা করছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে বেতন বাড়বে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে অর্থ ও হিসাবরক্ষণ খাতগুলোর ধারণা, একই সময় বেতন বাড়বে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
উপরের জরিপটি যৌথভাবে করেছে সিঙ্গাপুরের নিয়োগ কোম্পানি রবার্ট হাফ এবং ইনস্টিটিউট অব সার্টিফাইড পাবলিক অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব সিঙ্গাপুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর