ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

৬০০ শিশুর পিতা তিনি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২৮, এপ্রিল ১২, ২০১২
৬০০ শিশুর পিতা তিনি!

ঢাকা: এক ব্রিটিশকে ছয়শ’ শিশুর পিতা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষায় এর পক্ষে প্রমাণও মিলেছে।

তবে এ তথ্যে ভড়কে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। আসলে ওই ব্রিটিশ তথ্য গোপন রেখে প্রজনন ক্লিনিকে আসা দম্পতিদের শুক্রাণু দিয়েছেন।

ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, বারটোল্ড ওয়েজনার এবং তার স্ত্রী ১৯৪০ এর দশক থেকে একটি প্রজনন ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছিলেন। তাদের সহায়তায় প্রায় দেড় হাজার পরিবার সন্তানের মুখ দেখেছে। এদের মধ্যে দুই শিশুর জন্ম হয়েছে ক্লিনিক থেকে শুক্রাণু নিয়ে গর্ভধারণের ফলে। সম্প্রতি ব্যারি স্টিভেনস এবং ডেভিড গোলানজ নামের ওই দুই শিশুর (অবশ্য তাদের এখন অনেক বয়স) ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা গেছে তারা উভয়েই ওয়েজনারের ঔরশজাত।

গোলানজ টেলিগ্রাফকে বলেছেন, ‘আমার ধারণা তিনি (ওয়েজনার) তিনশ’ থেকে ৬শ’ শিশুর পিতা। ’

১৯৪৩ থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে ওই ক্লিনিকে ১৮ জন নারী গর্ভধারণ করেছে। তাদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাদের দুই তৃতীয়াংশের সঙ্গে ওয়েজনারের ডিএনএর মিল রয়েছে। অবশ্য ক্লিনিকে জন্ম নেওয়া দেড় হাজার শিশুর মধ্যে ঠিক কতোটি শিশু ওয়েজনারের ঔরশজাত তা নির্ধারণ করা কিছুটা অসম্ভবই। কারণ ওয়েজনারের স্ত্রী ম্যারি বারটন ক্লিনিকের এসব রেকর্ড নষ্ট করে ফেলেছেন। ওয়েজনার মারা গেছেন ১৯৭০- এর দশকের প্রথম দিকে।

ব্যারি স্টিভেনস একটি মার্কিন পত্রিকাকে বলেছেন, গর্ভধারণ করতে আসা নারীদের ওয়েজনার না জানিয়ে শুক্রাণু দেওয়ার কারণে তার (স্টিভেনস) এক হাজার রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় রয়েছে যাদের সঙ্গে তার কখনো দেখা হয়নি। ওই পত্রিকাতে আরো জানানো হয়েছে, অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত ওয়েজনার তার ক্লিনিকে পরীক্ষামূলক চিকিৎসা কৌশল অনুশীলন করতেন।

বর্তমানে ৫৯ বছর বয়সী স্টিভেনস বলেন, ‘এটা ছিল সুপ্রজনন বিদ্যার এক যুগ। বামপন্থী লোকেরা এটা সমর্থন করতো তবে ডানপন্থীরা এমন কর্মকাণ্ডের বিরোধী ছিল। ’

স্টিভেনস বলেন, ‘তাদের ধারণা ছিল, মেধাবী লোকেদের জিনের বিস্তার ঘটানো উচিৎ। আর কম মেধাবী লোকেদের জিনের বিস্তার নিরুৎসাহিত করা উচিৎ। ’

অবশ্য ব্রিটেনের আইনে একই ব্যক্তির বেশি পরিমাণে শুক্রাণু প্রদান নিষিদ্ধ। দম্পতিরা একই দাতার কাছ থেকে শুক্রাণু নিলে যে শিশুর জন্ম হবে তাতে অনাকাঙ্ক্ষিত বা অযাচিত অজাচার (রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়ের মধ্যে যৌন সম্পর্ক) সংঘটিত হতে পারে এই আশঙ্কায় এই আইন করা হয়েছে। ব্রিটিশ শুক্রাণু দাতারা এখন সর্বোচ্চ ১০ বার শুক্রাণু দিতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এমন কোনো কেন্দ্রীয় আইন নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।