ঢাকা : উত্তর কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে। শুক্রবার রকেটটি উৎক্ষেপণের একটু পরেই বায়ুমণ্ডলের মাঝ অঞ্চলে খণ্ড বিখণ্ড হয়ে পীত সাগরে পতিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের তীব্র আপত্তি উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়ার এ রকেট উৎক্ষেপণ শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার কথা প্রথম দাবি করে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সুং হোন প্রথমে এ দাবি করেন যদিও দাবির পক্ষে বিস্তারিত আর কিছু তখন জানাননি তিনি।
পরে অবশ্য উত্তর কোরিয়া তাদের রকেট উৎক্ষেপণ ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছে। তারা স্বীকার করেছে, উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টা পরই সেটি পীত সাগরের উপরের বায়ুমণ্ডলে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং তারা কৃত্রিম উপগ্রহ নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং বিশেষজ্ঞরা এই ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করছেন বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ।
এদিকে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন দেশ উত্তর কোরিয়া তার এ ব্যর্থতার লজ্জা ঢাকতে শিগগির পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে। প্রতিষ্ঠাতা নেতা কিম ইল সুংয়ের শততম জন্মবার্ষিকীতে দেশটি তার প্রযুক্তিগত উন্নয়ন দেখিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ বাঁচানো দায় হয়ে গেল।
এদিকে পিয়ংইয়ংয়ের রকেট উৎক্ষেপণের খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এই রকেট উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়ে দাবি করেছে, এর আড়ালে আসলে কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জে কারনি শুক্রবার বলেছেন, উত্তর কোরিয়া এসব করে নিজেদের আরো বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। দেশটি একদিকে উস্কানিমূলক কাজে অর্থের অপচয় করছে অথচ দেশের মানুষ না খেয়ে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জার্মানি ও ব্রিটেন পিয়ংইয়ংয়ের রকেট উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, উত্তর কোরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে তারা শুক্রবারই জরুরি বৈঠকে বসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর/জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর