ঢাকা : ঐতিহাসিক সফরে মিয়ানমারে পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন । সাবেক ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক এই দেশটিতে গত ৬০ বছরে এই প্রথম যুক্তরাজ্যের কোন প্রধানমন্ত্রী সফরে গেলেন।
নেইপেতোতে তিনি প্রথমে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি সাবেক রাজধানী রেঙ্গুনে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে দেখা করবেন।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সফরের চূড়ান্ত ধাপে ক্যামেরন মিয়ানমার সফরে আসলেন। বিমান বন্দরে নামার পরপরই ক্যামেরন সাংবাদিকদের বলেন,‘গণতন্ত্রের পথে মিয়ানমারের যাত্রার গতিপথ অনিবার্য। ’
গত অর্ধ শতাব্দী ধরে দেশটি শাসন করছে সামরিক জান্তা। এর প্রতিবাদে দেশটির ওপর দীর্ঘদিন ধরে অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ অন্যান্য রাষ্ট্র।
বিগত ২০ বছরের মধ্যে মিয়ানমারে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করা হয়। তবে এর পর থেকেই দেশটিতে একটি সেনা সমর্থিত বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।
সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ বার্মা ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। সামরিক জান্তারা দেশটির নাম পরিবর্তন করে রাখে মিয়ানমার। স্বাধীনতার পর ক্যামেরনই প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি মিয়ানমার সফর করলেন।
মিয়ানমারে অবতরণের আগে ক্যামেরন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সিংগাপুরে যাত্রাবিরতি করেন। এ সময় তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি হিন লুঙের সঙ্গে দেখা করেন।
রেঙ্গুনে অং সান সুচির সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ক্যামেরন অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। সেখানে তিনি সুচির আমন্ত্রনে ব্যক্তিগত নৈশভোজেও অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মিয়ানমার সফরে ক্যামেরনের সঙ্গী হয়েছেন দশ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। তবে ডাউনিং স্ট্রীট জানিয়েছে ক্যামেরনের মিয়ানমার সফরের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সেখানে শুধুই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর