ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ স্থগিত করা উচিত: ক্যামেরন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৯, এপ্রিল ১৩, ২০১২
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ স্থগিত করা উচিত: ক্যামেরন

ঢাকা : রাজনৈতিক পরিবর্তন ও সংস্কারের স্বীকৃতি স্বরূপ মিয়ানমারের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ স্থগিত করা উচিৎ বলে মনে করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

শুক্রবার মিয়ানমারে ঐতিহাসিক সফরে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র সঙ্গে ইয়াঙ্গুনে এক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।



সু চি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, অবরোধ স্থগিত করলে সংস্কারপন্থীদের হাত আরো শক্তিশালী হবে।

এর আগে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ক্যামেরন। বৈঠকে তিনি বলেছেন, এই সরকারকে এটা বুঝিয়ে দিতে হবে যে গণতন্ত্রের পথে যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।

উল্লেখ্য, সাবেক এই ব্রিটিশ উপনিবেশে গত ৬০ বছরে এই প্রথম যুক্তরাজ্যের কোনো প্রধানমন্ত্রী সফরে এলেন।

শুক্রবার মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোর বিমান বন্দরে অবতরণ করেন ক্যামেরন। এর পরেই নেইপিদোতে প্রথমে প্রেসিডেন্ট থেইন সিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। পরে সাবেক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
 
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সফরের চূড়ান্ত ধাপে ক্যামেরন মিয়ানমার সফরে এলেন। বিমান বন্দরে নামার পরই ক্যামেরন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণতন্ত্রের পথে মিয়ানমারের পথচলা এখন অনিবার্য। ’

গত অর্ধ শতাব্দী ধরে দেশটি শাসন করেছে সামরিক জান্তা। এর প্রতিবাদে দেশটির ওপর দীর্ঘদিন ধরে অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বিগত ২০ বছরের মধ্যে মিয়ানমারে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারপরও সু চি’র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) জয়লাভ করলেও তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি। এর পর থেকেই দেশটিতে সেনা সমর্থিত বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।

সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ বার্মা ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। সামরিক জান্তারা দেশটির নাম পরিবর্তন করে রাখে মিয়ানমার। স্বাধীনতার পর ক্যামেরনই প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি মিয়ানমার সফরে এলেন।

শুক্রবারই দিন শেষে ইয়াঙ্গুনে সু চি’র সঙ্গে ক্যামরনের একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর সু চি’র আমন্ত্রণে নৈশভোজেও অংশ নিতে পারেন ক্যামেরন।

এদিকে মিয়ানমার সফরে ক্যামেরনের সঙ্গী হয়েছেন দশ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। তবে ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, ক্যামেরনের মিয়ানমার সফরের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সেখানে শুধুই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১২

সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর/জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।