ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ইন্টারনেটে মমতার সমালোচনায় মুখর ভারতীয়রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০৬, এপ্রিল ১৫, ২০১২
ইন্টারনেটে মমতার সমালোচনায় মুখর ভারতীয়রা

ঢাকা : নিছক একটা ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অসহিঞ্চুতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে রাজনীতি সচেতন অনেক মানুষ ইন্টারনেটে তার সমালোচনায় মুখর হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতজুড়ে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা মমতার এই বেরসিক আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।



একটি নির্দোষ কৌতুককে সমর্থকরা যেভাবে নিয়েছে এবং সহিংস প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় মমতার ওপর যারপর নাই ক্ষুব্ধ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সচেতন মানুষেরা। ইন্টারনেটে এই ক্ষোভ এখন রীতিমতো উপহাস, গা জ্বালাকর এবং ওয়েবসাইট ভাসিয়ে দেওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যঙ্গচিত্র এঁকে তার ফেসবুক পাতায় পোস্ট করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মমতার সমর্থকরা ওই অধ্যাপককে মারধর করে পুলিশ সোপর্দ করে। পরে তার বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের মামলা করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাদের মুখ্যমন্ত্রীর এই অসিহঞ্চু আচরণে খুবই ব্যথিত হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় তারা টুইটার, ফেসবুক এবং ব্লগে এর নিন্দা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় ফেটে পড়েছে। এমনি ক্রুদ্ধ একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মমতাকে একমাত্র রজনিকান্ত ঠিক করতে পারে। ’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনি নানাভাবে উপহাস, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতে কসুর করছে না কেউ।

শনিবার ফেসবুকে ‘উই হেট মমতা ব্যানার্জি’ নামে কমপক্ষে চারটি পাতা খুলেছিল নেটিজেনরা। এতে একজন লিখেছে, ‘ মমতা ব্যানর্জিকে হটাও, মা, মাটি ও মানুষকে বাঁচাও। ’

এদিকে এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টে আবেদন করেছে এবং এর পক্ষে অনলাইন স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে। কলকাতা কলেজের একজন লেকচারার ছদ্মনামে মমতার সমালোচনা করেছেন এবং তার কথাবার্তা সিপিএম’র ৩৪ বছরের ‘অপশাসনের’ চেয়ে খারাপ বলে উল্লেখ করেছেন।

এর মধ্যে গত শনিবার বাংলা নববর্ষের দিন কলকাতাজুড়ে একটি সতর্কতামূলক ক্ষুদে বার্তা সবার মোবাইল ফোনে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সাবধান, সাবধান, ১৪১৯’এ শুভেচ্ছা জানালেও ধরে নেবে পুলিশ। ’ তার মানে হলো- এই নববর্ষে শুভেচ্ছা জানালেও পুলিশ ধরে নিয়ে যেতে পারে।

সুতরাং, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে তাতে মনে হচ্ছে, মমতার বাংলা এখন অসম্ভব রকম ক্রুদ্ধ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।