ঢাকা : নাইজেরিয়ার পুলিশ একটি অবৈধ এতিমখানায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজন তরুণীকে উদ্ধার করেছে। সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এদের সন্তান ধারণের জন্য বাধ্য করা হতো এবং সেসব শিশু পরে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ আকোয়া ইবোমে কয়েকটি অবৈধ এতিমখানায় অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ বাহিনীর সহকারী পুলিশ সুপার ওয়েকাচি ওরজি বলেছেন, ‘এ রাজ্যের উরাহ স্থানীয় সরকারের অধীনস্থ এলাকায় একটি ‘বেবি ফ্যাক্টরির’ সন্ধান পেয়েছি। ’
তিনি জানান, ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী সাতজন তুরণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন গর্ভবতী। তবে শিশু উদ্ধার হয়নি।
এতিমখানার মালিক, তার স্ত্রী এবং একজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সহকারী পুলিশ সুপার ওরজি আরো জানান, অভিযুক্তরা তরুণীদের টাকার লোভ দেখিয়ে গর্ভে সন্তান ধারণে প্র্রলুব্ধ করত। এক একজনকে তারা গর্ভধারণের জন্য ৭০ হাজার নাইরা (নাইজেরিয়ার মুদ্রা) বা ৪শ’ ৪৫ মার্কিন ডলার দিত। আর এসব শিশুদের বিক্রি করা হতো বিভিন্ন ধর্মীয় আচার পালনকারীদের কাছে।
এ ধরনের আরেকটি ‘ফ্যাক্টরির’ সন্ধান পেয়েছে নাইজেরীয় পুলিশ। সেখানে উৎপাদিত শিশু সন্তানহীন দম্পতিদের কাছে বিক্রি করা হয়।
উল্লেখ্য, পশ্চিম আফ্রিকায় মানবপাচার একটি ব্যাপক বিস্তৃত বাণিজ্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের ধরে নিয়ে বাণিজ্যিক বনায়ন, খনি এবং কারখানায় অথবা বাড়ির কাজে লাগানো হয়।
আবার অনেককে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। অনেকে আবার ব্ল্যাক ম্যাজিকে ব্যবহৃত হয়ে নির্যাতন অথবা বিসর্জনের শিকার হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর