ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

নরওয়ের আদালত মানেন না ব্রেইভিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৪, এপ্রিল ১৬, ২০১২
নরওয়ের আদালত মানেন না ব্রেইভিক

ঢাকা: নরওয়েতে বোমা মেরে ও গুলি করে ৭৭ জন মানুষ হত্যার হোতা অ্যান্ডারস বেরিং ব্রেইভিক হত্যকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আনা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের ব্যাপারে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি।

সেই সঙ্গে নরওয়ের কোনো আদালতকেই মানেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন উদ্ধত ব্রেইভিক।

সোমবার সকালে নরওয়ের রাজধানী অসলোর আদালতে ব্রেইভিকের বিচার শুরু হয়েছে। ২০১১ সালের জুলাইয়ে গুলি করে বহু মানুষ হত্যার ঘটনায় ব্রেইভিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা।

আদালতে সন্ত্রাসের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ব্রেইভিক বলেন, ‘আমি সেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করছি কিন্তু আমি কোনো অপরাধ করিনি। ’

এর আগে এদিন সকালের দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ব্রেইভিককে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল।

৩৩ বছর বয়সী যুবক ব্রেইভিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে ২১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে তিনি সমাজের জন্য হুমকি বিবেচিত হলে এই শাস্তি অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হতে পারে। আবার তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত প্রমাণিত হলে তাকে মানসিক চিকিৎসাধীন করা হবে এমনকি সারা জীবন তাকে এ চিকিৎসাধীন থাকতে হতে পারে।

আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, আদালতে প্রবেশের সময় ব্রেইভিক তার ডান হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে তুলে ধরে স্যালুট দেন। এটি কট্টর ডানপন্থীদের রীতি।

৭৭ জন নিরোপরাধ মানুষ হত্যার পরও কোনো অপরাধবোধ নেই ব্রেইভিকের। এর জন্য কোনো অনুশোচণা নেই তার। আদালতে উদ্ধত ভঙ্গিতে ব্রেইভিক বলেন, ‘আমি নরওয়ের আদালত মানি না। আপনারা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ম্যানডেট নিয়ে এসেছেন যারা বহুসংস্কৃতির ধারণাকে সমর্থন করে। ’

সামরিক আদালতে নিজের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি এই আদালত কর্তৃপক্ষকে স্বীকার করি না। ’

এসব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আদালতের প্রধান বিচারক ওয়েন্সে এলিজাবেথ আরনৎজেন ব্রেইভিককে বলেন, পরে তিনি তার বিবৃতি দেওয়ার জন্য সময় পেতে পারেন।

কৌঁসুলি যখন ২০১১ সালের জুলাইয়ের হামলায় নিহতদের নাম আদালতে পড়ে শুনাচ্ছিলেন তখন ব্রেইভিক মাথা নিচু করে ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে ব্রেইভিক রাজধানী অসলোতে সরকারি ভবনের সামনে শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। এ ঘটনায় ৮ ব্যক্তি নিহত হয়। পরে রাজধানীর অদূরে উটোয়া দ্বীপে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির যুবসম্মেলনস্থলে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আরো ৬৯ জনকে হত্যা করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১২

সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।