শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল সিরিয়া। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জরাজীর্ণ দেশটি ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কে। এতে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশ ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পে দেশটিতে অনেক ভবন ধসে পড়েছে।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই হতাহতের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। অনেকে ধংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন। উদ্ধারকারীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সিরিয়া সবচেয়ে বাজেভাবে আক্রান্ত হওয়া অঞ্চল ইদলিব। তুর্কি সীমান্ত বরাবর উত্তরে বিরোধীদের দখলে থাকা শেষ অঞ্চল।
এই দুর্যোগের আগেও অঞ্চলটি ছিল সাহায্য সংস্থার লোকজনের জন্য দুর্গম অঞ্চল। এই অঞ্চলে পৌঁছানো বেশ কঠিন। তুর্কি সীমান্ত বাব আল-হাওয়া পেরিয়ে এই অঞ্চলে যেতে হয়।
সিরিয়ার এই অঞ্চলে সাহায্য জরুরি হয়ে পড়েছে। এখানে ৪০ লাখের বেশি লোক হিমশীতল নিম্ন তাপমাত্রায় ক্ষীণ অস্থায়ী আশ্রয়ে জীবনধারণ করেন।
আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির মার্ক কায়ে আহ্বান জানিয়েছেন, সাহায্যের ক্ষেত্রে রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে। তিনি বলেন, এখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাত্মতা দেখানো দরকার। এটি সংকটের মধ্যেও সংকট। এই সপ্তাহে আমরা এই অঞ্চলে হিমশীতল তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেখিয়েছিলাম।
সিরিয়ার সরকারও সাহায্যের জন্য আকুতি জানিয়েছে। দেশটির প্রতিটি অংশ যুদ্ধে নিঃস্ব এবং নিঃশেষ হয়ে গেছে।
এখন প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের পশ্চিমা ও প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে সাহায্য খোঁজা প্রয়োজন হতে পারে। শত্রুদের সমর্থন দেওয়ার কারণে তিনি প্রায়শই এসব দেশের নিন্দা করতেন। প্রকৃতির শক্তিশালী ক্ষমতা যা কোনো রাজনীতি বুঝে না, সেই ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়তে আসাদ সরকারকে এখন সেইসব দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
আরএইচ