ঢাকা : গত ২৪ বছরের মধ্যে প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি। আগামী জুন মাসে সুচি নরওয়ে ও ব্রিটেন সফরে যেতে পারেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
গত সপ্তাহে ঐতিহাসিক মিয়ানমার সফরের সময় সুচির সঙ্গে ইয়াঙ্গুন নগরীতে বৈঠক করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এসময় সুচিকে ব্রিটেন সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড শহরে যাওয়া সু চির ব্রিটেন সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন তার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র নেইন উইন। সু চির সফরসুচি ও সময় এখনও নির্ধারন করা হয়নি। উল্লেখ্য, সু চি বিগত শতাব্দীর সাতের দশকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। এখানে পাঠরত অবস্থায় তিনি তার প্রয়াত স্বামী এরিসের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
৬৬ বছর বয়সী সু চি প্রথম কারারুদ্ধ হন ১৯৮৯ সালে। তিনি গত ২১ বছরে তিনি সর্বমোট ১৫ বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।
সামরিক জান্তা আরোপিত গৃহবন্দীত্ব থেকে ২০১০ সালে মুক্তি পেলেও সুচি তখন দেশ ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। তার আশঙ্কা ছিলো সামরিক জান্তা হয়তো তাকে আর মিয়ানমার ফেরত আসতে দেবেনা। তাই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি দেশত্যাগ করেননি তখন।
মিয়ানমারের বদলে যাওয়া পরিস্থিতিই সম্ভব করছে সু চির বিদেশ সফর। সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল থেইন সিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি নজিরবিহীন সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন দেশটিতে। এরই অংশ হিসেবে গত ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক উপ-নির্বাচনে সু চির দল অংশ নিয়ে ৪৩ টি আসনে জয়লাভ করে।
থেইন সিনের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে আটক রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, সংবাদমাধ্যমের অধিকতর স্বাধীনতা, সশস্ত্র জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংলাপ ইত্যাদি। এর পাশাপাশি তিনি অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করছেন।
বাংলাদেশ সময়:১৬২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর