ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

অর্থনীতিতে ১৯৩০’র মতো সঙ্কটের আশঙ্কা করছে আইএমএফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪০, এপ্রিল ১৮, ২০১২
অর্থনীতিতে ১৯৩০’র মতো সঙ্কটের আশঙ্কা করছে আইএমএফ

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বশেষ বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা (ওর্য়াল্ড ইকোনোমিক আউটলুক) বিষয়ক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, সামনের মাসগুলোতে অর্থনীতির অবস্থা আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। এমনকি অর্থনীতিতে ১৯৩০ সালের মহামন্দার মতো বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।



তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০১৩ সালে প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের কিছু বেশি হতে পারে।

আইএমএফ আরো সর্তক করেছে, বিশ্ব অর্থনীতি এখনো ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে।

এ ব্যাপারে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ অলিভার ব্লানচার্ড বলেছেন, বিগত ছয় মাস ধরে বিশ্ব অর্থনীতি যে অবস্থায় রয়েছে তাকে বর্ণনা করার সবচে উপযুক্ত উদাহরণ হচ্ছে ‘রোলার কোস্টার’।

তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি হয়ত কিছুটা শান্ত অবস্থায় আনা হয়েছে কিন্তু অস্বস্তি এখনো রয়েছে। আর যেকোনো সময় এটি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে।

এদিকে, ইউরোপ বিশ্ব অর্থনীতিকে অব্যাহতভাবে অধোগতির দিকে নামাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে আইএমএফ। ২০১২ সালে এ অঞ্চলে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি এবং ২০১৩ সালে সামান্য অগ্রগতির ভবিষ্যদ্বাণী শুনিয়েছে এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র নিজের সক্ষমতা দিয়েই তার অর্থনীতিকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে আইএমএফ বলেছে, চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৩ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়তে পারে।

চীনের কল্যাণে এশিয়ার অর্থনীতির জন্য শুভ সংবাদ শুনিয়েছে আইএমএফ। তারা বলেছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটির স্থিতিস্থাপক চাহিদা এশিয়ার অর্থনীতিকে ভাল অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে বড় ভুমিকা রাখবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। আর ২০১৩ সালে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে।

তবে ইউরোপের অর্থনীতির জন্য আইএমএফের সতর্কবাণী বহাল থাকছে। অর্থনীতিতে সম্ভাব্য বিপর্যয় ঠেকাতে ইউরোপকে আরো কাজ করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন আইএমএফ’র অর্থনীতিবিদরা।

ব্লানচেট বলেছেন, এই মুহূর্তে সবচে অগ্রাধিকার যোগ্য বিষয় এবং সবচে কঠিন কাজটি হলো টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখা এবং উন্নত অর্থনীতি বিশেষ করে ইউরোপে বেকারত্ব হ্রাস করা।

আর এই কৌশলকে কাঠামো দিতে সহায়তার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের মতো আরেকটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আরেক খেলোয়াড়ের আগমন ঘটেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জিম ইয়ং কিম ১ জুলাই থেকে বিশ্ব ব্যাংকের প্রধানের দায়িত্ব নিচ্ছেন। আর এই মুহূর্তে আইএমএফ’র প্রতিবেদন বলছে, সামনের মাসগুলোতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চ্যালেঞ্জ তার সামনেও থাকছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১২

সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর/জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।