ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

হেগলিগ ‘মুক্ত’ করেছে সুদানি বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:২১, এপ্রিল ২১, ২০১২
হেগলিগ ‘মুক্ত’ করেছে সুদানি বাহিনী

ঢাকা : হেগলিগ থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার দক্ষিণ সুদানি ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে সুদান। সুদানি প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির দাবি করেছেন, দখলদাররা স্বেচ্ছায় সরে যায়নি বরং সুদানি বাহিনীই দক্ষিণ সুদানি সেনাদের হেগলিগ থেকে হটিয়ে দিয়েছে।

যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

শুক্রবার এক ঘোষণায় ওমর আল বশির দাবি করেন, দক্ষিণ সুদানি সেনারাই প্রথম সুদানি অবস্থানে হামলা করে। তবে পাল্টা হামলা চালিয়ে সুদানি বাহিনী তাদের হেগলিগ থেকে হটিয়ে দেয় বলে জানান তিনি। শত্রু সেনাদের বিরুদ্ধে সুদানি বাহিনীর অগ্রাভিযান চলবে বলেও এসময় ঘোষণা করেন তিনি।
 
এর আগে সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের ঘোষণাকে উড়িয়ে দেন তিনি। দক্ষিণ সুদানি বাহিনীকে হেগলিগ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন সালভা কির। ওমর আল বশির বলেন, ‘সেখানে কোন প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটেনি। আমরা তাদের শক্তিবলে পরাজিত করেছি, এখন পর্যন্ত তাদের সেনারা পালাচ্ছে। ’

খার্তুমের সেনা হেডকোয়ার্টার থেকে হেগলিগ মুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ার সময় সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির জলপাই রংয়ের সামরিক উর্দি পরিহিত ছিলেন। তিনি সুদানের পাইপলাইন ব্যবহার করে দক্ষিণ সুদানের তেল রপ্তানিও বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন।

এর আগে হেগলিগ শহরকে দখলদারদের থেকে মুক্ত করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ঘোষণা দেন সুদানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দেল রহিম মোহাম্মেদ হোসেন। শত্রুপক্ষ এ সময় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় বলে দাবি করেন তিনি।  

দক্ষিণ সুদান গত ১০ এপ্রিল তেল সমৃদ্ধ হেগলিগ দখল করে নেয়। হেগলিগ দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়। সুদান তার ভূখণ্ড দখল করে নেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে দক্ষিণ সুদানের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১২

সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।