ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় আবারো ভূমিকম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৪, এপ্রিল ২১, ২০১২
ইন্দোনেশিয়ায় আবারো ভূমিকম্প

ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া এবং সুমাত্রা অঞ্চলে শনিবার পরপর দু’টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ সময় লোকজন ভয়ে বাড়িঘর এবং বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে আসে।

তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্প দু’টি বেশ শক্তিশালী হলেও সুনামির আশঙ্কা নেই। সবচে জোরালো আঘাতটি হেনেছে পশ্চিম পাপুয়ার রানসিকি শহরে। ওই সময় শহরে স্কুলগুলোতে সকালের ক্লাস চলছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) হিসাব মতে, পাপুয়াতে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে। এর গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার।

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও জলবায়ু সংস্থার (বিএমকেজি) কর্মকর্তা ইউলসোন সিনেরি বলেছেন, কিছু ভবনের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে এর মধ্যে দু’টি বসতবাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং একটি গির্জার দেয়াল ধসে গেছে।

ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশের অন্যান্য অংশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিশেষ করে নিউগিনি দ্বীপের পশ্চিম অংশে এ ভূমিকম্পের আঘাত বোঝা গেছে।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, পাপুয়াতে ভূমিকম্প হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সুমাত্রা দ্বীপে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে এর জন্যও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২১ মিনিটে। এর গভীরতা ছিল ৩৪ কিলোমিটার এবং বান্দা আচেহ থেকে ৪২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম দিকে এই বান্দা আচেহতে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এর পরই পুরো ভারত মহাসাগর উপকূলজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। অবশ্য শেষ পর্যন্ত কোথাও সুনামি হয়নি।

এ অঞ্চলে ২০০৪ সালে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং সুনামিতে আচেহ প্রদেশসহ ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।