ঢাকা: ইন্টারনেটে কোনো তথ্য খুঁজে পেতে বিশ্বেজুড়ে সবচে জনপ্রিয় সার্চএঞ্জিন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ, নির্বাহী চেয়ারম্যান এরিক শিমিড আর ‘টাইটানিক’, ‘অ্যাভেটর’ এর মতো বিখ্যাত সব সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন। এই তিন ব্যক্তিই তাদের নিজ নিজ পেশায় ঈর্ষণীয় রকম সফল।
এই তিন মহারথী মিলে এবার এক নতুন উচ্চাভিলাষে মেতেছেন। যৌথ উদ্যোগে মহাকাশে অনুসন্ধান শুরু করার পরিকল্পনা করছেন তারা। এছাড়া সেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানেও বিনিয়োগের চিন্তা আছে তাদের। আর এ নতুন উদ্যোগের ব্যাপারে তারা বিস্তারিত জানাবেন আগামী সপ্তাহে।
চলতি সপ্তাহে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, প্ল্যানেটারি রিসোর্সেস নামের এ উচ্চাভিলাষি উদ্যোগের ব্যাপারে ঘোষণা আসবে আগামী মঙ্গলবার। এদিন সিয়াটলে মিউজিয়াম অব ফ্লাইটে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।
উদ্যোগের কয়েক জন হাই-প্রোফাইল পৃষ্ঠপোষকের নাম আর যৎকিঞ্চিত তথ্য ছাড়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। জানানো হয়েছে, দুই উদ্যোগের যুক্ত নাম হবে ‘স্পেস এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্স’। এ ব্যবসায়ীক উদ্যোগ বিশ্ব অর্থনীতির জিডিপিতে কয়েক হাজার কোটি ডলার যুক্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্য ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্ল্যানেটারি রিসোর্সেস নামের ব্যবসায়ীক উদ্যোগটির লক্ষ্য হবে বিভিন্ন গ্রহে প্রাকৃতিক সম্পদের অনুসন্ধান এবং খনি খননের সম্ভাব্যতা যাচাই করা। অবশ্য এ ধরনের চিন্তা বিজ্ঞানীরা গত কয়েক দশক আগে থেকে করে আসছেন।
তিন মহারথীর এ মহাউদ্যোগ সফল হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক নতুন শিল্পের জন্ম হবে। আর সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের সংজ্ঞাও হয়ত নতুন করে নির্ধারণ করার প্রয়োজন দেখা দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্ল্যানেটারি রিসোর্স উদ্যোগের সহ-উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন নাসার মারস মিশনের ব্যবস্থাপক এরিক অ্যান্ডারসন এবং মহাকাশ বাণিজ্যের উদ্যোক্তা পিটার ডায়ামান্ডিস। এই ডায়ামান্ডিস মাত্র এক কোটি ডলারে পুনব্যববহার যোগ্য মহাকাশ যান উৎক্ষেপণকারী গ্রুপদের নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতা এক্স-প্রাইজের প্রধান নেপথ্য ব্যক্তি।
এ উদ্যোগে আরো বিনিয়োগ করছেন মাইক্রোসফটের সাবেক শীর্ষ নির্বাহী চার্লস সিমোনি এবং গুগলের পরিচালকদের একজন কে রাম শ্রীরাম।
আর হলিউডি সায়েন্স ফিকশন সিনেমা নির্মাতা জেমস ক্যামেরন এ উদ্যোগের অন্যতম উৎসাহী বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা।
৫৮ বছর বয়সে এসেও বিজ্ঞান আর অ্যাডভেন্সারে আগ্রহের কমতি নেই এ কানাডীয় বংশোদ্ভূত চলচ্চিত্র নির্মাতার। গত মাসেই একটি মিনি সাবমেরিনে করে সমুদ্র তলদেশের গভীরতম খাদ মারিয়ানা ট্রান্সের তলদেশ ঘুরে এলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর