ঢাকা: চীনের সামরিক হুমকি মোকাবিলা এবং সেনা বাহিনীর আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চারটি যুদ্ধাজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করেছে। রোববার দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।
তাইওয়ানি একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, গত মাসে সরকারি কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট মা ইং জেও যুদ্ধজাহাজ কেনার প্রস্তাবের ওপর ব্রিফ করেন। আগামী বাজেটে এটি অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তুতিও চলছে।
তবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এখন যুদ্ধজাহাজ কেনার এ প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে তাইওয়ানের নৌবাহিনীতে একই মানের যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২টিতে।
তাইওয়ানের ওই দৈনিকের প্রতিবেদনে জানা যায়, চারটি পেরি ফ্রিগেট যেগুলো ৮০’র দশকে আলাদাভাবে নির্মিত এবং পরবর্তীতে মার্কিন নৌ বাহিনী থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে সেগুলো তাইওয়ানি নৌ বাহিনীর আটটি নোক্স ফ্রিগেটের সঙ্গে প্রতিস্থাপন করা হবে।
তাইওয়ানের যুদ্ধজাহাজ কেনার পরিকল্পনার সঙ্গে চীনের সামরিক হুমকির বিষয়টি যুক্ত হলেও ২০০৮ সালে মা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চীন-তাইওয়ান সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতি মা তাইওয়ানের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য এবং পর্যটন খাতে সম্পর্কন্নোয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত জানুয়ারিতে মা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে চীন এখনো তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে না। ১৯৪৯ সাল থেকে তাইওয়ান স্বশাসিত হলেও চীন এখনো দাবি করে, দেশটি তার ঐতিহাসিক ভূখণ্ড।
তাইওয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আক্রমণ করা হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে চীন। আর একারণেই দেশটি তার সামরিক শক্তি বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। আর সামরিক শক্তি বাড়াতে গিয়ে নানা দেশ থেকে উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র কিনছে তাইওয়ান। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগ অস্ত্রই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর