ঢাকা: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটের ফলাফলে পিছিয়ে পড়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি। রোববারের ভোটগ্রহণে সারকোজিকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান অধিকার করেন প্রধান বিরোধী প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া হোলাঁদ।
সারকোজি পেয়েছেন ২৭.১ শতাংশ ভোট, অপরদিকে হোলাঁদ নিশ্চিত করেন ২৮.৬ শতাংশ ভোটারের সমর্থন। তবে প্রথম দফার নির্বাচনে সারকোজির পরাজয় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। এই প্রথমবারের মত একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট প্রথম দফার ভোটে পরাজিত হলেন।
এদিকে অপ্রত্যাশিত ভাবে ১৮.১ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করেছেন চরম ডানপন্থি প্রাথীর্ মেরি লে পেঁ। অতীতের কোন নির্বাচনেই তার দক্ষিণপন্থি ন্যাশনাল ফ্রন্ট প্রথম দফার নির্বাচনে এত বেশি সমর্থন পায়নি।
প্রথম দফায় কোনো প্রার্থীই মিউজিক্যাল ফিগার ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে না পারায় সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৬’মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সে। দ্বিতীয় দফায় অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রথম দফার নির্বাচনের ফলাফলের শীর্ষ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।
নির্বাচনে বাম সমর্থিত প্রার্থী জঁ ল্যুক মিলেছো পেয়েছেন ১২ শতাংশ ভোট। ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থনে নির্বাচন লড়েন তিনি। তবে ফলাফল পরিষ্কার হওয়ার পরপরই দ্বিতীয় দফার ভোটে হোলাঁদকে সমর্থন করতে সমর্থকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
অপর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ভোট পেয়েছেন কেন্দ্রপন্থি ফ্রাঁসোয়া বেইরু। প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোট না পেলেও তিনি লাভ করেন ৯ শতাংশ ভোট। ২০০৭ এর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে তিনি ১৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাভ করেছিলেন।
সারকোজির থেকে খুব অল্প ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় দফার ভোটে ফ্রাঁসোয়া হোলাঁদ সহজেই জয়লাভ করবেন বলে আভাস দিচ্ছে জনমত জরিপ।
রোববারের নির্বাচনে উল্ল্যেখযোগ্য বিষয় ছিলো ভোটার উপস্থিতি। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক সমাগম ঘটে । ভোট পড়ার হার ৮০ শতাংশ বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর;
জুয়েল মাজহার,কনসালট্যান্ট এডিটর।