ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে বোভাইন স্পঞ্জিফর্ম এনসেফালোপ্যাথি বা ম্যাড কাউ রোগের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ ইউএসডিএ এ খবর নিশ্চিত করেছে।
পশুরোগ বিভাগের প্রধান জন ক্লিফোর্ড এ ব্যাপারে জানিযেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো এ রোগের সংক্রমণ ধরা পড়ল। তবে এতে গোমাংস রপ্তানি প্রভাবিত হবে না বলে মনে করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাড কাউ রোগের প্রাদূর্ভাব প্রথম ধরা পড়ে ২০০৩ সালে। এ সময় দেশটির গোমাংস ব্যবসা ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
ক্লি ফোর্ড জানিয়েছেন, মধ্য ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ডেইরি ফার্মের গাভীর শরীরে ম্যাড কাউ ধরা পড়েছে। তবে রোগজীবাণু খাদ্য সরবরাহে প্রবেশ করতে পারেনি। আর ব্যাপকভাবে প্রাদূর্ভাব ঘটার কোনো আশঙ্কা নেই।
ইউএসডিএ জানিয়েছে, প্রায় ৪০ হাজার পশুকে বাৎসরিক নিয়মিত পরীক্ষার সময় ওই খামারের গাভীর দেহে ম্যাড কাউ ধরা পড়ে।
এদিকে এ খবর প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের গোমাংস বাণিজ্যে মন্দা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে মার্কিন গোমাংসের অন্যতম আমদানিকারক দেশ কানাডা বলেছে, এতে দুই দেশের খাদ্য বাণিজ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে তারা আশা করছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচে বড় দু’টি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা গোমাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
লোতে মার্ত এবং হোম প্লাস নামে প্রতিষ্ঠান দু’টি জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার গাভীর দেহে ম্যাড কাউ ধরা পড়েছে এ খবর শোনার পর তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা গোমাংস অস্থায়ীভাবে বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক লাখ ৭ হাজার টন গোমাংস আমদানি করেছে।
ইউএসডিএ’র তথ্য মতে, ২০১১ সালে সারা বিশ্বে ম্যাডকাউ রোগের মাত্র ২৯টি সংক্রমণের ঘটনা জানা যায়। আর যুক্তরাষ্ট্রে এ রোগের সংক্রমণের এটি চতুর্থবারের ঘটনা।
ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে ২০০৩ সালে প্রথম ম্যাডকাউ ধরা পড়ে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আসা একটি গাভীর দেহে। পরে ২০০৫ সালে টেক্সাস এবং ২০০৬ সালে আলবামা অঙ্গরাজ্যে এ রোগের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর