ঢাকা: দক্ষিণ সুদানের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সুদান। এ ঘোষণার ফলে, দক্ষিণ সুদানের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলো এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় সুদানের সংবিধান স্থগিত হলো।
বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির গত রোববার দক্ষিণ কর্দোফান, হোয়াইট নাইল এবং সেন্নার প্রদেশের সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে একটি আদেশ জারি করেছেন।
দক্ষিণ সুদানের সঙ্গে সীমান্তে মাসব্যাপী সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে সুদানের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ এল। তবে দক্ষিণ সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত সংলগ্ন দারফুরে গত এক দশক ধরেই জরুরি অবস্থা চলছে। গত সেপ্টেম্বরে আদিবাসী বিদ্রোহীদের তৎপরতা বেড়ে গেলে ব্লু নাইল প্রদেশেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
দীর্ঘদিনের সংঘাতের পর গত বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ সুদান আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই সীমান্তে বাণিজ্য নিষিদ্ধ। তবে এর মধ্যে কখনো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
এদিকে সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, হোয়াইট নাইল প্রদেশে খার্তুমের দক্ষিণে অবস্থারত নৃগোষ্ঠীর ১২ হাজার দক্ষিণ সুদানিকে দেশ ছাড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন প্রদেশের গভর্নর ইউসুফ আল সামবালি।
প্রসঙ্গত, সুদানে ১৯৮৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটেছে গত জুলাইয়ে দেশটি ভাগ হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে। তবে সীমান্ত সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত না হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখনো চলছে। সীমান্ত এলাকায় দ্বন্দ্বের প্রধান কারণ, অঞ্চলটি তেল সমৃদ্ধ। আর সুদানে সবচে বেশি আয় আসে তেল রপ্তানি থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর