ঢাকা: নির্মাণ হতে যাচ্ছে একুশ শতকের টাইটানিক। অস্ট্রেলিয়ার বিলিয়নের ব্যবসায়ী ক্লাইভ পামার আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নির্মাণ করবেন এই টাইটানিক।
অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের শেষ দিকে এ টাইটানিকের নির্মাণকাজ শুরু হবে। জাহাজ তৈরির জন্য সিএসসি জিনলিং শিপইয়ার্ডের সঙ্গে ইতোমধ্যে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০১৬ সালেই এটি সাগরে ভাসার উপযুক্ত হবে।
পুরনো টাইটানিকের মূল নকশর সঙ্গে যতটা সম্ভব মিল রেখেই নতুন প্রযুক্তিতে নতুন টাইটানিকটি নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন পামার। আর আগেরটার মতো এটাও হবে বিলাসবহুল প্রমোদতরী। তবে এতে থাকবে একুশ শতকের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, জাহাজ চালনা পদ্ধতি (নেভিগেশন সিস্টেম) এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
টাইটানিক ডুবির মর্মান্তিক ঘটনার শতবর্ষ পূর্তির মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় টাইটানিক তৈরির এ ঘোষণা এল।
বিশ শতকের নির্মিত তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে বড় এবং বিলাসবহুল এই জলযানটি প্রথম যাত্রাতেই দুর্ঘটনার শিকার হয়। সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে বিশাল এক বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল ডুবে যায় টাইটানিক। এ ঘটনায় প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
তবে নতুন টাইটানিকের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যে এটি কখনো ডুববে না বলে পামারের দাবি।
সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে নতুন টাইটানিক ২০১৬ সালের শেষ দিকে লন্ডন থেকে নিউইয়র্কের পথে যাত্রা করবে।
তবে নতুন সংস্করণের এ টাইটানিকের নির্মাণ খরচ কতো তা জানতে উপস্থিত সাংবাদিকরা খুব আগ্রহ দেখালেও তা জানাতে পারেননি পামারের মুখপাত্র।
কুইনসল্যান্ডের ধনকুবের ক্লাইভ পামারের ট্যুরিজম ব্যবসা রয়েছে। চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সানশাইন কোস্টে বিলাসবহুল এক রিসোর্টের মালিক। এধরনের আরো কিছু ব্যয়বহুল যানবাহন তৈরির পরিকল্পনা তার আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার, নিউজরুম এডিটর/ জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর