ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

প্রচলিত আইন অনুযায়ী ড্রোন হামলা বৈধ: যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০১, মে ১, ২০১২
প্রচলিত আইন অনুযায়ী ড্রোন হামলা বৈধ: যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা : ড্রোন হামলা চালিয়ে বিচার বর্হিভূতভাবে ‘সন্ত্রাসী’ নিধনের স্বপক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে অবস্থান নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের মধ্যে থেকেই এই হামলা চালানো হয় বলেও দাবি করেন তারা।

যদিও আইনের ঠিক কোন কোন ধারায় এই হত্যাকাণ্ড সমর্থনযোগ্য তা জানায়নি মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

হোয়াইট হাউসের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক উপদেষ্টা জন ব্রেনান আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রোন হামলার স্বপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘হ্যা, প্রচলিত আইন মেনেই যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ এবং আমেরিকানদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশেষ করে আল কায়েদা সন্ত্রাসীদের লক্ষ করে হামলা পরিচালনা করে আসছে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময়ই মানববিহীন দূরনিয়ন্ত্রিত বিমান ব্যবহার করা হয়, যাকে মানুষ ড্রোন বলে অভিহিত করে। ’

সোমবার ওয়াশিংটনের উইড্রো উইলসন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ব্রেনান বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ড্রোন কর্মসূচির ব্যাপারে আরো অধিক তথ্য দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। ’

এ ধরণের হামলাকে আইনগত ভাবে বৈধ উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘তবে ড্রোন কর্মসূচির ব্যাপারে আরো বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন। ’

এদিকে ব্রেনানের এই বক্তব্যে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই।   ড্রোন হামলা চালিয়ে বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের সমালোচনাকারী সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন এ ব্যাপারে ব্রেনানের খোলামেলা বক্তব্যকে স্বাগত জানালেও ড্রোন কর্মসূচির সমালোচনা করেছে। ব্রেনান তার যুক্তির স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেননি বলে এ সময় অভিযোগ করে সংগঠনটি।

সংগঠনের সহকারী আইনবিষয়ক পরিচালক জামেল জেফার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ব্রেনান তার বক্তব্যে শুধুমাত্র আইনি উপসংহার টেনেছেন কিন্তু তিনি কোনো আইনি ব্যাখ্যা দেননি। ’

দীর্ঘদিন ধরেই ইয়েমেনে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি অবস্থানে ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সব হামলায় তথাকথিত জঙ্গি নেতাদের অনেকে নিহত হলেও বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়ার ঘটনাই বেশি।

গত বছর পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে মার্কিন ড্রোন হামলায় ২৪ পাকিস্তানি সেনা নিহত হলে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে চিড় ধরে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান তার ভূমি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর জন্য পরিচালিত সরবরাহ রুট বন্ধ করে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।