ঢাকা : মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি সংসদ সদস্য হিসেবে পার্লামেন্টে শপথ নিয়েছেন।
বুধবার রাজধানী নাইপিদোতে পার্লামেন্টে দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) ৩৩ সদস্যসহ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্পিকার শুয়ে মানের সামনে শপথ নেন সু চি।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ও গত বছর গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে গত ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে জিতে পার্লামেন্টের বৈধ সদস্য পদ পান সু চি। এরপর প্রথম দিকে সংবিধানের শপথ অনুচ্ছেদের কিছু বক্তব্য নিয়ে আপত্তি তুললেও অবশেষে শপথ নিয়ে মিয়ানমারের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন তিনি।
সংবিধানের শপথ বাক্য নিয়ে আপত্তি থাকায় প্রথমে শপথ নিতে অস্বীকার করলেও গত সোমবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং চলমান সংস্কার অব্যাহত রাখার স্বার্থে শপথ নিতে রাজি হন সু চি। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের মিয়ানমার সফরের প্রক্কালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এপ্রিলে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪৩টিতে জয় পেলেও পার্লামেন্টে এখনো সেনা সমর্থিত সরকার এবং সরাসরি সেনা বাহিনীর প্রভাব অক্ষত রয়েছে। কারণ এক চতুর্থাংশ আসন সেনা বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত এবং বাকি অংশে সেনা সমর্থিত সরকারের এমপিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
তারপরও পার্লামেন্টে একটি বিরোধী দল হিসেবে সু চির দল জায়গা পেল এটাই আশার কথা। আর একে মিয়ানমারের রাজনীতিতে বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করছেন পর্যবেক্ষকরা।
শপথ নেওয়ার পর অং সান সু চি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গত ২০ বছর বা তারও বেশি সময় আমরা পার্লামেন্টের বাইরে যেভাবে দায়িত্বপালন করেছি ঠিক একই ভাবে পার্লামেন্টেও আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর