ঢাকা: ২০০৯ সালে গাজা আক্রমনের সময় একই পরিবারের ২১ সদস্যকে হত্যার ব্যাপারে পরিচালিত তদন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। মঙ্গলবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করে , উদ্দেশ্যমুলক ভাবে তাদের হত্যা করার কোনো প্রমাণ তদন্তে পাওয়া যায়নি।
২০০৯ সালে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপারেশন কাস্ট লেড নামে সর্বাত্মক সামরিক আগ্রাসন চালায় ইসরায়েল। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় এই আগ্রাসনের তীব্রতা ছিলো সবচেয়ে মারাত্মক। তিন সপ্তাহ স্থায়ী এই অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৪শ সাধারণ ফিলিস্থিনি নাগরিক নিহত হন। তাদের মধ্যে প্রায় সবাই ছিলো বেসামরিক নাগরিক।
গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের সবচেয়ে মর্মান্তিক শিকার হয় সামোনি পরিবার। ইসরায়েলি হামলায় এক সঙ্গে এই পরিবারের ২১ সদস্য নিহত হয়।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইসরায়েলি সেনারা প্রথমে জোর পূর্বক একটি ভবনে প্রায় ১শ বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলো নারী ও শিশু। এ সময় তাদেরকে বাইরে বের না হওয়ার জন্য হুমকি দেয় ইসরায়েলি সেনারা।
এর অল্পসময় পরই বোমা হামলা চালিয়ে ওই ভবনটি ধুলিসাৎ করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ভবনটিতে অবস্থানরত এক সামোনি পরিবারেরই ২১ সদস্য নিহত হন।
এই ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিশ্বব্যাপী । পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক চাপে ও বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এই তদন্তের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে।
মঙ্গলবারের বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এডভোকেট জেনারেল জানান, ইসরায়েলি হামলায় নিহত এই ২১ জনের মৃত্যু যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে না। অনিচ্ছাকৃতভাবে এই হামলা সংঘটিত হয় বলে দাবি করে তিনি বলেন ওই ভবনটি এবং এতে আশ্রয় নেওয়াদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী ভুলক্রমে হামলা চালায়।
বাংলাদেশ সময়:১৯০৬ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর